জিআর+ গ্রুপের মেম্বাররা তৈরি করলো "অনলাইন সিকিউরড ভোটিং সিস্টেম"

জিআর+ গ্রুপের মেম্বাররা তৈরি করলো "অনলাইন সিকিউরড ভোটিং সিস্টেম"

এবারের বিসিএসআইআর জাতীয় বিজ্ঞান, শিল্প ও প্রযুক্তি মেলা ২০১৬ -এ বাংলাদেশের কিশোর ওয়েব ডেভেলপার ফোরাম 'জিআর+ বাংলাদেশ' এর তিন জন সদস্য তাদের তৈরি করা তৃতীয় অ্যাপ প্রদর্শন করলো।

তাদের অ্যাপের ড্যাশবোর্ড পাতা

তাদের অ্যাপ এর নাম ছিলো 'অটোমেটেড অনলাইন ভোটিং সিস্টেম'
তাদের দলনেতা মাহমুদুজ্জামান কমল এবং তাওসিফ তুরাবি এবং এমকে জিম জানালো যে, তারা মূলত পিএইচপি, এসকিউএল, জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যাবহার করে প্রোগ্রাম করেছে এবং এইচটিএমএল৫ এবং সিএসএস৩ ব্যাবহার করে ডিজাইন করেছে। তাদের এই প্রোগ্রামটি বানাতে তাদের দুই মাস সময় লেগেছে। তারা এখনো চেষ্টা করছে বায়োম্যাট্রিক পদ্দতিতে ভোট প্রক্রিয়ার কাজ করতে।

অ্যাপটির প্রার্থী পাতা


তারা আরও বলল, আমাদের এই ওয়েব অ্যাপ একসাথে অগণিত নির্বাচন একসাথে করা যায়।আর বাংলাদেশে ইভিএম নিরাপদ নয়, অনলাইন ভোটিং সিস্টেমও দেখা যায় না, এছাড়া জনমত ও অনলাইন সার্ভে করার জন্য অনলাইন ভোটিং সিস্টেম থাকলেও তা তেমন নিরাপদ নয়। কেননা সেখানে একই ব্যাবহারকারি বারবার প্রক্সি ব্রাস্ট দিয়ে ভোট দিতে পারে। যেখানে বোঝাও যায় না ব্যাবহারকারি কোথায় থাকতে পারেন বা কয়টি জাল ভোট দিয়েছেন। আমরা একটি পিএইচপি ওয়েব অ্যাপলিকেশন তৈরি করেছি যেখানে একজন সুপারভাইজার যে যে আইডি নাম্বার এন্ট্রি করে রাখবেন তার বাহিরে কোনও আইডি সাইন আপ করে ভোট দিতে পারবে না। এমনকি একটি আইডি দ্বিতীয়বার ভোট দিতে পারবে না। ঠিক যেমনটি হয় স্থানীয় নির্বাচনে, একটি নির্বাচনী এলাকায় প্রিজাইডিং অফিসার যেমন সেই এলাকার ভোটারদের এনআইডি বা পরিচয়পত্রের নম্বর রেখে দেন, এবং সেই নির্বাচনী এলাকায় সেই ভোটার ছাড়া অন্য কেউ ভোট দিতে পারে না। এছাড়া নির্রবাচনের পর সবচেয়ে বেশি যে কাজে সমস্যা সৃষ্টি হয় তা হল ভোট গননা। ভোট গননায় মানুষের ভুল হতেই পারে, এবং এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মূল্যবান সময় নস্ট হয়। কিন্তু এই অ্যাপলিকেশনের অ্যাডমিন প্যানেলে সেই ভোট গননার একটি সহজ ও দ্রুততর স্ক্রিপ্ট আছে। এতে আপনি কয়েক মুহূর্তে রেজাল্ট পেয়ে যাবেন। এছাড়া ভোটের পর কোন এনআইডি বা আইডি নম্বর থেকে কোন দলে কোন প্রার্থীকে কখন ভোট দিয়েছেন সকল তথ্য অ্যাডমিন দেখতে পারবেন, আর কেউ নয়। এমনকি ভোটের রিয়েল টাইম আপডেটও অ্যাডমিন ইচ্ছে করলে নিতে পারেন। এখন পিএইচপি আর এসকিউএল থেকেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, এটা যদি হ্যাক হয়?

এই হ্যাকের প্রশ্নের উত্তরে তারা বলে, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সকল প্রকার বাগ সরিয়ে দিতে। এখন পর্যন্ত আমরা এসকিউএল ইনজেকশন বাগ ও অন্যান্য এক্সপ্লয়েট বাগ ফিক্স করেছি এবং ডিরেক্টরি সিকিউর করেছি। এবং তারা আরও বলে যে, বাংলাদেশের হ্যাকাররা নিজ দেশের ওয়েবসাইট হ্যাক করে তার একটা কারন হল, সরকারিভাবে হ্যাকারদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না এবং তারা অবহেলিত। তারাও সরকারের নানা কাজে লাগতে পারে। এতে দেখা যাবে হ্যাকাররাই চেষ্টা করবে হ্যাক থেকে বাঁচানোর। 




যে যে ফিচার রয়েছে,

· সিকিউরড অ্যাডমিন প্যানেল

· একবারের বেশি ভোট কোনোভাবেই দেওয়া যাবে না।

· নির্দিষ্ট আইডি ছাড়া সাইন আপ হবে না।

· এসকিউএল ইনজেকশন বাগ নেই

· ভোট অটো রেজাল্টিং

· রেজাল্ট প্রিন্ট ফিচার

· কোন ভোটার কোথায় ভোট দিয়েছে তা কেবল অ্যাডমিন দেখতে পারবে

· ভোটারের নিরাপত্তা

· কে ভোট দেবে তা অ্যাডমিন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

· ভোটের ক্যান্ডিডেট অ্যাডমিন এন্ট্রি করবে।

· সকল ভোটার একবার রেজিস্টার করতে পারবে।

· ডায়নামিক এডিটিং অপশন।

· ভোট ফলাফলের পাইচার্ট ডিসপ্লে

· ভোটার একবারই ভোট দিতে পারবে।

· সিকিউর পিডিও ক্যুয়েরি

· প্রিন্ট ফিচার

· কে ভোট দিয়েছে না দেয়নি তার অটোমেটেড সার্ভে

আরও পড়ুন

ফটোশপে নিজের স্কেচ নিজেই বানান

ফটোশপে নিজের স্কেচ নিজেই বানান
আসসালামু আলাইকুম,

কেমন আছেন? আজ আপনাদের সিম্পল একটি ফটোশপ টিউটোরিয়াল দেবো।

আজ আপনাদের শিখিয়ে দেবো কিভাবে ফটোশপ দিয়ে ছবিকে স্কেচ বানিয়ে ফেলবেন।




দরকারি ছবি ওপেন করুন।



Ctrl+J চাপুন ব্যাকগ্রাউন্ড ডুপ্লিকেট করতে,



তারপর Ctrl+ Shift+U চেপে কালার রিমুভ করে দিন, এতে ছবি সাদা কালো হবে।



আবার Ctrl+J চাপুন এবং আরেকটি লেয়ার বানান, তারপর Ctrl+I দিয়ে কালার উল্টে দিন বা ইনভারট করে দিন।



ব্লেন্ড মোড বদলে Color Dodge করে দিন।




এই অপশন সিলেক্ট করে দিন Filter>Blur> Gaussian Blur এবং Radius 8px করে ওকে ক্লিক করুন।





Ctrl+Shift+Alt+E দিয়ে নতুন একটি লেয়ার মারজ করুন, এবং Ctrl+J দিয়ে কপি করুন।

 ব্লেন্ড মোড মাল্টিপ্লাই করে দিন,এখন Ctrl + J দিয়ে লেয়ার বারবার কপি করতে পারেন স্কেচের লাইন স্ট্রং করতে।

 সবচেয়ে উপরের লেয়ার হাইলাইট করুন, Shift চেপে ধরে background লেয়ারের আগের লেয়ারে ক্লিক করে সব লেয়ার সিলেক্ট করুন এবং Ctrl+E দিয়ে মারজ করে নিন। 


এখন Shift+Ctrl+S চেপে ইমেজ সেভ করে দিন





আরও পড়ুন

আমাদের অ্যাপ প্রথম আলো পত্রিকায়!

আমাদের অ্যাপ প্রথম আলো পত্রিকায়!

এটি প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ থেকে নেওয়া।

 এর সমস্ত কৃতিত্ব প্রথম আলোর লেখক ও আলোকচিত্রির।




সিটি ব্যাংক-প্রথম আলো বিজ্ঞান জয়োৎসবে উদ্ধারকারী রোবট দেখছেন দর্শকেরা l ছবি: হাসান রাজাএকবার আইনস্টাইন বলে বসলেন, কেউ যদি জীবনের ৩০ বছরের আগে বিজ্ঞানে তার সেরা অবদান না রাখতে পারে, তবে সে কোনো দিনও পারবে না। তাঁর সে কথাটি যদিও বেদবাক্যের মতো আঁকড়ে পড়ে থাকার কিছু নেই, তবে সেরাদের সেরারা কিন্তু ছোট থেকেই নিজেদের কারিশমা দেখাতে শুরু করেন। ফরাসি গণিতবিদ ব্লেইজ প্যাসকেল নয় বছর বয়সে প্রথম তত্ত্ব লিখেছিলেন। চার বছর বয়সে মেরি কুরি তাঁর ভাইবোনদের গণিতের ‘বাড়ির কাজ’ করে দিতেন। এই নামগুলো বলে শেষ করা যাবে না। দীর্ঘ সেই তালিকাটায় যেন দীর্ঘতর করতে চাইছে বিজ্ঞান জয়োৎসবের অংশগ্রহণকারী বন্ধুরা। রোবট, কাজের সফটওয়্যার, থ্রিডি প্রিন্টার থকে শুরু করে নিরাপত্তা সরঞ্জাম—কী তৈরি করেনি তারা! গত ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সিটি ব্যাংক-প্রথম আলো বিজ্ঞান জয়োৎসবে খুদে বিজ্ঞানীদের নানা উদ্ভাবন দেখা যায়। এই উৎসবে আসা কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে এই আয়োজন। 
থ্রিডি প্রিন্টাররোবট শেখে নিজে নিজে 
দুর্যোগের সময় বা তার পরে উদ্ধারকাজে রোবটের ব্যবহার রয়েছে বটে, তবে ভিন্ন পরিস্থিতিতে রোবট নিজে থেকে কিছু করতে পারে না। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. শরিফুল ইসলাম, শায়েখ মো. শিথিল ও মো. তারেক হোসেনের দল চেষ্টা করে যাচ্ছে এমন কোনো কিছু তৈরি করতে, যাতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোবট নিজ বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সমাধান বের করতে পারে। শরিফুল ইসলাম বলেছে, ‘ভিডিও ইমেজ প্রসেসিং নিয়ে কাজ করছি আমরা। ইউটিউব ভিডিও দেখে যেন রোবট শিখতে পারে সেই চেষ্টা করছি।’ শরিফুল পড়ছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে এবং অপর দুই সদস্য পড়ছে সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
থ্রিডি প্রিন্টার
স্বল্প খরচে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) প্রিন্ট নয়, বরং প্রিন্টার বানিয়ে দিতে পারবে এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিন ছাত্র। তাদের দলনেতা সৌমেন দাস বলেছে, লোহার রড, কাঠের মতো স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় তৈরি করা যায় এটি। মেইন বোর্ড হিসেবে আরডুইনো ব্যবহার করা হয়েছে এতে। দলের অপর দুই সদস্য হলো শেখ শাফিন আহমেদ ও সাদমান সাকিব। তারা সবাই ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে পড়ছে। বাংলাদেশে সবে থ্রিডি প্রিন্টারের প্রচলন হতে শুরু হলেও প্রথমবার কেউ তৈরি করে দেখাল।অতল জলের রোবট
বাড়ির নিরাপত্তা
ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্র আহবাব আল মো. সিদ্দিকি ও জারিফ তাহমিদ তৈরি করেছে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা। তাদের বাড়িতে একবার চুরি হওয়ার পর এই চিন্তা মাথায় আসে আহবাবের। দরজার সামনে লুকানো অবস্থায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের সাহায্যে এই নিরাপত্তা যন্ত্র রাখা হয়। আহবাব বলল, এই নিরাপত্তাব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এর খরচ কম। আর অনলাইনে যুক্ত না থাকায় এটি হ্যাক করাও সম্ভব নয়।
নিজের তৈরি ট্রলির সঙ্গে ফারজানাঅতল জলের রোবট২০১৪ সালে পিনাক-৬ লঞ্চডুবির ঘটনা বেশ আলোড়ন তুলেছিল। সে দুর্ঘটনা নাড়া দেয় তরুণ রাফায়েত হুদার মনে। এদিকে তার বাবা হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইফুল হুদা ছেলেকে এমন কিছু করতে বলেন যা মানবকল্যাণে কাজে লাগবে। এরপরই আলী আরমান আলবী ও আহনাফ আহসানকে সঙ্গে নিয়ে কম খরচে আন্ডারওয়াটার রোবট তৈরির কাজ শুরু করে সে। রাফায়েত বলল, এই রোবটটি ১৬ হাজার টাকার মধ্যে তৈরি সম্ভব। রাফায়েত ও আরমান পড়ছে দিনাজপুর স্কুল অব লিবারেটরসের নবম শ্রেণিতে, আহনাফ পড়ে ঢাকার আগা খান স্কুলে।
তিন চাকার ট্রলিআঞ্চলিক ভাষার ডিজিটাল অভিধানবাড়ির লিফটটা মাঝেমধ্যে নষ্ট থাকায় বইয়ের ভারে নুইয়ে পড়া ছোট্ট ফারজানা তাবাসসুমের একদিন মাথায় এল কীভাবে সিঁড়ি বেয়ে সহজে ব্যাগটা টেনে তোলা যায়। সেখান থেকেই তিন চাকার ট্রলির ভাবনা আসে তার মাথায়। ফারজানা বলল, ‘আমার শিক্ষকেরা বলেছেন, তিন চাকার ওপর দিয়ে চেইনজাতীয় কিছু লাগিয়ে দিলে হয়তো এটি ভালো কাজ করবে। এখন সেটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।’ প্রকল্পটি নিয়ে প্রায় তিন বছর হলো কাজ করছে সে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ফারজানা এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবে।

আঞ্চলিক ভাষার ডিজিটাল অভিধান
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রণীত বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান কেন্দ্র করে রাজধানীর শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের দশম শ্রেণির তিন ছাত্র মো. তালহা চৌধুরী, গাজী তাওসীফ তুরাবি ও মাহমুদুজ্জামানের দল ‘আপেক্ষিক’ তৈরি করেছে আঞ্চলিক ভাষার ডিজিটাল অভিধান। দলনেতা তালহা বলল, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ৩০০ শব্দ যোগ করতে পেরেছি। আরও কাজ চলছে। এক হাজার শব্দের বেশি হলে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে ছাড়তে পারব। ইতিমধ্যে কপিরাইটের জন্য আবেদন করেছি।’
আরও পড়ুন

শ্যাডো সেন্সর

শ্যাডো সেন্সর




আমরা বর্তমানে অনেক রকম সেন্সর ব্যাবহার করি এবং ব্যাবহার করতে দেখি। নানা রকম সেন্সর এখন হাতের নাগালের দামেই বাজারে পাওয়া যায়। তেমনি একটি সেন্সর হল শ্যাডো সেন্সর।

কোনও নির্দিষ্ট যায়গায় কোনও মানুষের বা প্রাণীর নড়াচড়া সনাক্ত করতে শ্যাডো সেন্সর ব্যাবহার করা হয়। অনেকেই কেবল এলডিআর একটি দিয়ে শ্যাডো সেন্সর বানান। তবে এটা পুরোপুরি শ্যাডো সেন্সর নয়।


শ্যাডো সেন্সর প্রোজেক্ট ডায়াগ্রাম




আইসি ৭৪১ ডাটাশিট



এখানে একটি সাধারণ কিন্তু এক কথায় অসাধারণ একটি শ্যাডো সেন্সরের কথা বলা হয়েছে এবং ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটি আলো উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি আলাদা করতে পারে।



একটি এলডিআর আলোর মাত্রা ডিফার করে এবং আরেকটি এলডিআর ছায়া ডিটেক্ট করে।

এখানে দুটি ৫ মিলিমিটার সাইযের এলডিআর বা লাইট ডিপেন্ডেন্ট রিসিস্টর ব্যাবহার করা হয়েছে একটি সিমিলার অপ আম্প এলএম ৭৪১ এর সাথে।



নোটঃ

  1. এলডিআর ১ ও ২ কমপক্ষে ১ ইঞ্ছি দূরে রাখতে হবে (LDR1 —— 1 inch —— LDR2)
  2. ডায়োড ডি২ অপশনাল। কেবল পোলারিটি প্রোটেকশন দেওয়ার জন্য এটি।
  3. অ্যালার্মের জায়গায় আমরা রিলে দিয়ে অন্যান্য বড় অ্যালার্ম চালাতে পারি।


আরও পড়ুন

লেজার সিকিউরিটি সিস্টেম

লেজার সিকিউরিটি সিস্টেম




বর্তমানে নিরাপত্তা প্রতিটি স্থাপনার জন্য মুল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এতে অহরহ ব্যাবহার হচ্ছে প্রযুক্তি। এছাড়া কমদামে বা কম খরচে সিকিউরিটি সিস্টেম তেমন পাওয়া যায় না। আমরা তাই যথাসাধ্য খরচ কমানোর চেষ্টা করেছি। তবে আমরা এখনো এর উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি।

মুল সার্কিটটি চালাতে লাগবে কেবল মাত্র ৫ ভোল্ট। এটি মূলত একটি ফটো রিসিস্টর সুইচ।

ফটো রিসিস্টর হল এলডিআর বা আলক সংবেদী রোধক। এই রিসিস্টর বা রোধক আলোর উপস্থিতিতে রোধ কমে যায় এবং অনুপস্থিতিতে রোধ বেরে যায়। এই ধর্মকে লেজার ও অ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে লেজার সিকিউরিটি সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।

এখানে সেন্সর হিসেবে আছে এলডিআর বা লাইট ডিপেন্ডেন্ট রিসিস্টর। অর্থাৎ এটি এমন একটি রোধ যা আলোর উপস্থিতির উপর নির্ভরশীল। যখন এর ওপর আলো থাকে না তখন এর রোধের মান প্রায় ১০ মেগা ওহম ছাড়িয়ে যায়। আর আলো পড়লে এই রোধ নাটকীয় ভাবে কমে আসে।

এখানে সুইচিং ট্রাঞ্জিস্টর হিসেবে রয়েছে পিএনপি ট্রাঞ্জিস্টর যার মান হল BC547 । এখানে ট্রাঞ্জিস্টর বেসে পজিটিভ কারেন্ট রেইল থেকে এলডিআর এবং নেগেটিভ রেইল থেকে

১০০ কিলো ওহম পরিবর্তনশীল রোধ বা পটেনশিওমিটার শর্ট করা হয়েছে বা, সংযুক্ত করা হয়েছে।

যখন লেজার বীম থেকে লেজার রশ্মি এলডিআর এর সেন্সর প্যাডে পরে তখন ট্রাঞ্জিস্টরের বেসে নেগেটিভ কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং সেই সাথে রিলে বা ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক সুইচে

পাওয়ার যেতে পারে না, যখন লেজার বীম আর এলডিআর এর মাঝে কোনও বাঁধা আসে, তখন নেগেটিভ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় ও পজিটিভ প্রবাহ চালু হয়। এতে রিলে একবার সুইচ করে। এই সুইচ করার সাথে সাথে ৫৫৫ টাইমার আইসি চালু হয়ে যায় এবং অ্যালার্ম বেজে ওঠে ও আলো জ্বলে ওঠে!





রেফারেন্সঃ


www.blogger-tawsif.ga
www.grplusbd.cf












Costs:
Vero Board
1 pcs
25 tk
LED Red
1 pcs
2 tk
Resistor 2.2kΩ
1 pcs
2 tk
Transistor pnp BC547
1 pcs
5 tk
Diode pn 4007
1 pcs
5 tk
Buzzer 8Ω
1 pcs
30 tk
Relay Switch 6v
1 pcs
30 tk
IC NE555
1 pcs
30 tk
Capacitor 4µF 25v
1 pcs
5 tk
Capacitor 10µF 25v
1 pcs
5 tk
1k Ω Potentiometer
1 pcs
5 tk
100k Ω Potentiometer
1 pcs
5 tk
LDR
1 pcs
20 tk
Soldering
1 gauge
10 tk
Wiring
1 gauge
5 tk
Laser Diode
1 pcs
50 tk
LED White
1 pcs
2 tk
Resistor 100 Ω
1 pcs
2 tk





আরও পড়ুন

ইনফ্রারেড বেসড সিকিউরিটি সিস্টেম

ইনফ্রারেড বেসড সিকিউরিটি সিস্টেম

আইআর সিকিউরিটি অ্যালার্ম সিস্টেম যেকোনো মুভমেন্ট সনাক্ত করে অ্যালার্ম বাজাতে পারে। এই সার্কিটটি ব্যাংক, হাসপাতাল, অফিস, বাসাবাড়ি বা যেকোনো স্থানে ব্যাবহারযোগ্য।

এই সার্কিটটি একটি আইআর বা ইনফ্রারেড সেন্সর বেস করে বানানো হয়েছে যেখানে একটা ফটো ডায়োড অবিরত ভাবে একটি আইআর সেন্সরের ওপর আইআর আলকরশ্মি ফেলতে থাকে। যখনই কোনও কিছু এই অবিরত আলক রশ্মি ভেঙ্গে দেয় তখনি অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এই আলো মানব চোখে অদৃশ্য।

আইআর সেন্সর মূলত একটি আইআর এলইডি ও ফটো ডায়োড দিয়ে গঠিত।এখানে আইআর এলইডি আইআর আলো নিঃসরণ করে এবং সেন্সর কেবল আইআর আলো সেন্স করে।ফটো ডায়োড রিভার্স বায়াসে কারেন্ট কন্ডাক্ট করে। যখন এর ওপর আইআর আলো পরে তখন এর বায়াস বদলে যায় এবং প্রবাহি হয়ে ওঠে। এই ভোল্টেজের পরিবর্তন ভোল্টেজ কম্পারেটর দ্বারা সনাক্তকরন হয় এবং সেই অনুযায়ী আউটপুট আসে।

আমরা এই সার্কিটে একটি আইআর ডায়োড একটি আইআর সেন্সরের সামনে রেখেছি যাতে অবিরত আলো তার ওপর পড়তে পারে। যখন কেউ বা কোনও কিছু এই বিমের মাঝে আসে তখন আলো চলাচল বাধাগ্রস্থ হয় এবং অ্যালার্ম বেজে ওঠে। অ্যালার্ম কিছুক্ষন পর নিজেই থেমে যায় কারন এখানে ৫৫৫ টাইমার আইসি কে মনেস্টেবল মোডে দেওয়া আছে।

এই সার্কিট লেজার দিয়েও তৈরি করা যায়, কিন্তু আইআর ভালো। কারন আইআর ডায়োড মানব চোখে অদৃশ্য।


যন্ত্রাংশ,


  • · IR pair (IR LED and Photodiode)
  • · 555 timer IC
  • · IC LM358
  • · Resistor 100, 10k, 100k, 330, 220 ohm
  • · Capacitor 10uF
  • · Variable resistor – 10k
  • · Buzzer
  •  


সার্কিট ডায়াগ্রাম


আমরা ভোল্টেজ কম্পারেটর হিসেবে আমরা এলএম ৩৫৮ ইউজ করেছি যা মূলত একটি অপারেশনাল অ্যামপ্লিফায়ার। এটি দুটো ইনপুট কারেন্টের মাঝে তুলনা করে এবং নন ইনভারটার ইনপুটের কারেন্ট ইনভারটার ইনপুট থেকে কম হলেই ভোল্টেজ সুইচ করে। নন ইনভারটার পিন ফটো ডায়োডের সাথে এবং ইনভারটার পিন পটেন্সিওর সাথে দেওয়া হয়েছে।আউটপুট পিন ৫৫৫ আইসি এর ট্রিগার পিনে দেওয়া আছে।

যখন আইআর রেডিয়েশন ফটো ডায়োডের ওপর পড়ে, নন ইনভার্টের থেকে ইনভার্টের ভোল্ট বা আউটপুট বেশি থাকে। তখন আউটপুটে থাকে + কারেন্ট। আর যখন ফটো ডায়োডে আর আলো পড়ে না তখন অ্যালার্ম চালু হয়, অর্থাৎ ট্রিগার পিনে পজিটিভ কারেন্ট আসে।



নোটঃ

  1. · সাধারণত আইআর এলইডি এর রেঞ্জ ২ মিটার। তবে একে লেন্স দ্বারা বিবর্ধিত করা যায়।
  2. · এসি বা হাই পাওয়ার অ্যালার্ম ব্যাবহার করা যায় বাযারের যায়গায়, তবে রিলে সুইচের সাহায্যে।
  3. · আইআর এলইডি ও সেন্সর এক সমান্তরালে থাকতে হবে।
  4. · সেন্সরের সেন্সিটিভিটি ভেরিএবল রিসিস্টর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।.



রেফারেন্সঃ



আরও পড়ুন

অটোম্যাটিক নাইট লাইট উইথ ট্রাঞ্জিস্টর

অটোম্যাটিক নাইট লাইট উইথ ট্রাঞ্জিস্টর

বাংলাদেশে বর্তমানে একটি বড় সমস্যা হল লোডশেডিং। শহরাঞ্চলে এটা বোঝা এখন তেমন একটা বোঝা না গেলেও গ্রামাঞ্চলে এটি বেশ যন্ত্রনাদায়ক হয়ে ওঠে।



লোডশেডিংএর মুল কারন হল বিদ্যুতের সরবরাহের ঘাটতি। এই ঘাটতি কতদিনে কাটিয়ে ওঠা যাবে তা হয়তো নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে আমরা কিছু দিক থেকে সচেতন হলেই এই ঘাটতি আর নাও থাকতে পারে।



আর এই সচেতনতা অনেকের মাঝে থাকে না। অনেকেই ফ্যান, বাতি, টেলিভিশন ইত্যাদি অন করে চলে যান। আর রাস্তার বাতি? হ্যাঁ, রাস্তার বাতি বা বাড়ির সামনের বাতি অনেক সময় আমরা বন্ধ করতে ভুলে যাই।

এতে আমাদের যেমন আমাদের বিদ্যুৎ বিল বেরে যায়, তেমনি অনেক স্থানে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়।

তাই আমরা কেবল এককালীন খরচ করে, তাও তেমন বেশি না, এই বিলের ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে পারি।

তাই আমাদের এই সার্কিট তৈরি করা। এটিতে মত মিলিয়ে ৩ ডলার বা প্রায় ৩৫৮ টাকা খরচ পরে।



আর এলডিআর হল এমন একটি রিসিস্টর যা আলক সংবেদী। এর ওপর আলো পরলে এর রোধ কমে যায়, এবং আলোর অনুপস্থিতিতে এর রোধ অনেকখানি বেরে যায়।

একটি সাধারণ এলডিআর এর ওপর আলো পরলে এর রোধ কমে ১ কিলো ওহমের নিচে আসে, আর আলো না থাকলে ১ মেগা ওহম বা তারও ওপর থাকে।


LDR


এই সার্কিট একটি এনপিএন ট্রানজিস্টার বেস করে বানানো হয়েছে।

পিএনপি ট্রানজিস্টার নেগেটিভ কারেন্ট কালেক্ট করে এমিট করে। একে সুইচ করতে পজিটিভ কারেন্ট দরকার হয়।

তাই এখানে এলডিআর কে পজিটিভ বায়াস ও ভেরিয়াবল রিসিস্টর বা পট কে নিগেটিভ বায়াসে দেওয়া হয়েছে। যখন এলডিআরে আলো পরে তখন রোধ কমে গিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ বেড়ে যায় ও নিগেতিভ কারেন্ট ওভাররাইড হয়ে ট্রানজিস্টার সুইচ হয়ে যায়।



এতে এটি নাইট সেন্সর হিসেবে কাজ করে। এবার যদি এলডিআর নিগেতিভ ও পট পজিটিভ বায়াসে দেওয়া হয় তবে এটি লাইট সেন্সর বা ডে সেন্সর হিসেবে কাজ করবে।



















এখানে এলইডি এর স্থানে রিলে সুইচ স্থাপন করা হয়েছে।



যে যে কম্পোনেন্ট ব্যাবহার হয়েছে,

  1. এলইডি
  2. ১০০কিলো ওহম পটেনশিওমিটার
  3. এলডিআর
  4. বিসি৫৪৭ ট্রাঞ্জিস্টর
  5. ৬ ভোল্ট সাপ্লাই
  6. ৪৭০ ওহম রিসিস্টর
  7. এলইডি
  8. রিলে সুইচ
  9. ৪০০৭ পিএন ডায়োড


রেফারেন্সঃ



আরও পড়ুন

নিজেই বানান কম্পিউটার মাইক্রোফোন

নিজেই বানান কম্পিউটার মাইক্রোফোন
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আজ আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম কম্পিউটারের মাইকের সার্কিট !


 এটি খুব ছোট একটি সার্কিট ! যে কেউ চাইলেই এটি তৈরী করতে পারবেন ! এটি মূলত টিউনার রুবেল ভাইয়ের তৈরি করা।
এর জন্য যা যা দরকার :
  • একটি 10K রেজিস্ট্যান্স যার কালার বাদামী কাল কমলা সোলানী!
  • একটি 220uF 25V এর পোলারিস্ট ক্যাপাসিটর !
  • একটি নন পোলারিস্ট ক্যাপাসিটর যার কোড 104 !
  • একটি 3.5mm স্টিরিও জ্যাক পিন!
  • একটি MIC.

MIC ছাড়া উপরের চারটা কম্পোনেন্ট খুচরা বাজারে কিনতে ২০ টাকার মত লাগতে পারে! MIC না কিনে মোবাইল ফোনের নষ্ট হেডফোনের MIC ব্যবহার করবেন ! এতে খরচ কমবে এবং কাজও ভাল করবে !

এবার নিচের চিত্রের মত করে সার্কিট তৈরী করুন !






এবার সার্কিটির Signal স্টিরিও জ্যাকের 1 নং পিনে Vcc স্টিরিও জ্যাকের 2 নং পিনে এবং G স্টিরিও জ্যাকের 3 নং পিনের সাথে সংযোগ করুন !


                                                                     


TRS Pinout

আরও পড়ুন

অডিও অ্যামপ্লিফায়ার :: IC TDA2822 ডুয়েল চ্যানেল

অডিও অ্যামপ্লিফায়ার :: IC TDA2822 ডুয়েল চ্যানেল
আসসালামু আলাইকুম,
TTC Tunes

কেমন আছেন সকলে?
আরেকটি অডিও অ্যামপ্লিফায়ার সার্কিট নিয়ে এলাম। তবে এটি মনো চ্যানেল না, স্টেরিও। মানে ডুয়েল চ্যানেল।
আমরা বাজারে যে পোর্টেবল স্পীকার ল্যাপটপের জন্য কিনি, এটা সেটাই।
এটি অন্যান্য অডিও অ্যাম্পিলিফায়ার থেকে একটু আলাদা। কারণ, এটার জন্য কোন আলাদা পাওয়ারের দরকার হয় না। USB Port থেকে যেই পাঁচ ভোল্ট পাওয়া যায়, এটির মাধ্যমেই এই অডিও অ্যাম্পিলিফায়ারটি চলতে পারে। এটি তৈরী করতে চাইলে নিচের কম্পোনেন্টগুলো সংগ্রহ করুন।
  • ১. দুটি ৪৭ কিলোওহমের রেজিস্ট্যান্স যার কালার হলুদ বেগুনী কমলা সোনালী।
  • ২. একটি ১ ওহমের রেজিস্ট্যান্স যার কালার বাদামী কালো সোনালী সোনালী।
  • ৩. একটি ৬৮০ ওহমের রেজিস্ট্যান্স যার কালার নীল ধুসর বাদামী সোনালী।
  • ৪. দুইটি ৪.৭ ওহমের রেজিস্ট্যান্স যার কালার হলুদ বেগুনী সোনালী সোনালী।
  • ৫. পাঁচটি 100n মানের নোনপোলারিস্ট ক্যাপাসিটর যার কোড 104।
  • ৬. চারটি 100uF 25v এর পোলারিস্ট ক্যাপাসিটর।
  • ৭. একটি 100uF 10v এর পোলারিস্ট ক্যাপাসিটর।
  • ৮. একটি TDA2822 মানের আইসি।
  • ৯. একটি 47k এর ছয় পিনের ভলিওম।এই মান যদি না পান তাহলে 100k লাগাতে পারবেন।
  • ১০. একটি সুইচ।
  • ১১. একটি লাল কালারের LED ।
  • ১২. দুইটি ৪ ওহম এক ওয়াটের মাইক। যদি না পান তাহলে যে কোন রেডিও এর মাইক লাগাতে পারবেন।
  • ১৩. একটি USB ক্যাবল।
  • ১৪. একটি স্টিরিও জ্যাক।
TTC Tunes
    TDA2822 আইসির পিনের ছবি দেখুন।
TTC Tunes

USB ক্যাবল কাটলে চারটি তার পাবেন যার ভিতর একটি লাল ও একটি কালো তার আছে। এই লাল কালো তার সার্কিটের সাথে লাগিয়ে USB পোর্টে প্রবেশ করান এবং স্টিরিও জ্যাক পিসি বা ল্যাপটপের অডিও আউটপুটে লাগান। কাজ শেষ। তবে আপনি চাইলে অ্যাম্পিলিফায়ারের মাইকের লাইনে একটি স্টিরিও সকেট লাগাতে পারবেন।




আরও পড়ুন

মোট পাতাদর্শিত