জিআর+ গ্রুপের মেম্বাররা তৈরি করলো "অনলাইন সিকিউরড ভোটিং সিস্টেম"


এবারের বিসিএসআইআর জাতীয় বিজ্ঞান, শিল্প ও প্রযুক্তি মেলা ২০১৬ -এ বাংলাদেশের কিশোর ওয়েব ডেভেলপার ফোরাম 'জিআর+ বাংলাদেশ' এর তিন জন সদস্য তাদের তৈরি করা তৃতীয় অ্যাপ প্রদর্শন করলো।

তাদের অ্যাপের ড্যাশবোর্ড পাতা

তাদের অ্যাপ এর নাম ছিলো 'অটোমেটেড অনলাইন ভোটিং সিস্টেম'
তাদের দলনেতা মাহমুদুজ্জামান কমল এবং তাওসিফ তুরাবি এবং এমকে জিম জানালো যে, তারা মূলত পিএইচপি, এসকিউএল, জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যাবহার করে প্রোগ্রাম করেছে এবং এইচটিএমএল৫ এবং সিএসএস৩ ব্যাবহার করে ডিজাইন করেছে। তাদের এই প্রোগ্রামটি বানাতে তাদের দুই মাস সময় লেগেছে। তারা এখনো চেষ্টা করছে বায়োম্যাট্রিক পদ্দতিতে ভোট প্রক্রিয়ার কাজ করতে।

অ্যাপটির প্রার্থী পাতা


তারা আরও বলল, আমাদের এই ওয়েব অ্যাপ একসাথে অগণিত নির্বাচন একসাথে করা যায়।আর বাংলাদেশে ইভিএম নিরাপদ নয়, অনলাইন ভোটিং সিস্টেমও দেখা যায় না, এছাড়া জনমত ও অনলাইন সার্ভে করার জন্য অনলাইন ভোটিং সিস্টেম থাকলেও তা তেমন নিরাপদ নয়। কেননা সেখানে একই ব্যাবহারকারি বারবার প্রক্সি ব্রাস্ট দিয়ে ভোট দিতে পারে। যেখানে বোঝাও যায় না ব্যাবহারকারি কোথায় থাকতে পারেন বা কয়টি জাল ভোট দিয়েছেন। আমরা একটি পিএইচপি ওয়েব অ্যাপলিকেশন তৈরি করেছি যেখানে একজন সুপারভাইজার যে যে আইডি নাম্বার এন্ট্রি করে রাখবেন তার বাহিরে কোনও আইডি সাইন আপ করে ভোট দিতে পারবে না। এমনকি একটি আইডি দ্বিতীয়বার ভোট দিতে পারবে না। ঠিক যেমনটি হয় স্থানীয় নির্বাচনে, একটি নির্বাচনী এলাকায় প্রিজাইডিং অফিসার যেমন সেই এলাকার ভোটারদের এনআইডি বা পরিচয়পত্রের নম্বর রেখে দেন, এবং সেই নির্বাচনী এলাকায় সেই ভোটার ছাড়া অন্য কেউ ভোট দিতে পারে না। এছাড়া নির্রবাচনের পর সবচেয়ে বেশি যে কাজে সমস্যা সৃষ্টি হয় তা হল ভোট গননা। ভোট গননায় মানুষের ভুল হতেই পারে, এবং এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মূল্যবান সময় নস্ট হয়। কিন্তু এই অ্যাপলিকেশনের অ্যাডমিন প্যানেলে সেই ভোট গননার একটি সহজ ও দ্রুততর স্ক্রিপ্ট আছে। এতে আপনি কয়েক মুহূর্তে রেজাল্ট পেয়ে যাবেন। এছাড়া ভোটের পর কোন এনআইডি বা আইডি নম্বর থেকে কোন দলে কোন প্রার্থীকে কখন ভোট দিয়েছেন সকল তথ্য অ্যাডমিন দেখতে পারবেন, আর কেউ নয়। এমনকি ভোটের রিয়েল টাইম আপডেটও অ্যাডমিন ইচ্ছে করলে নিতে পারেন। এখন পিএইচপি আর এসকিউএল থেকেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, এটা যদি হ্যাক হয়?

এই হ্যাকের প্রশ্নের উত্তরে তারা বলে, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সকল প্রকার বাগ সরিয়ে দিতে। এখন পর্যন্ত আমরা এসকিউএল ইনজেকশন বাগ ও অন্যান্য এক্সপ্লয়েট বাগ ফিক্স করেছি এবং ডিরেক্টরি সিকিউর করেছি। এবং তারা আরও বলে যে, বাংলাদেশের হ্যাকাররা নিজ দেশের ওয়েবসাইট হ্যাক করে তার একটা কারন হল, সরকারিভাবে হ্যাকারদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না এবং তারা অবহেলিত। তারাও সরকারের নানা কাজে লাগতে পারে। এতে দেখা যাবে হ্যাকাররাই চেষ্টা করবে হ্যাক থেকে বাঁচানোর। 




যে যে ফিচার রয়েছে,

· সিকিউরড অ্যাডমিন প্যানেল

· একবারের বেশি ভোট কোনোভাবেই দেওয়া যাবে না।

· নির্দিষ্ট আইডি ছাড়া সাইন আপ হবে না।

· এসকিউএল ইনজেকশন বাগ নেই

· ভোট অটো রেজাল্টিং

· রেজাল্ট প্রিন্ট ফিচার

· কোন ভোটার কোথায় ভোট দিয়েছে তা কেবল অ্যাডমিন দেখতে পারবে

· ভোটারের নিরাপত্তা

· কে ভোট দেবে তা অ্যাডমিন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

· ভোটের ক্যান্ডিডেট অ্যাডমিন এন্ট্রি করবে।

· সকল ভোটার একবার রেজিস্টার করতে পারবে।

· ডায়নামিক এডিটিং অপশন।

· ভোট ফলাফলের পাইচার্ট ডিসপ্লে

· ভোটার একবারই ভোট দিতে পারবে।

· সিকিউর পিডিও ক্যুয়েরি

· প্রিন্ট ফিচার

· কে ভোট দিয়েছে না দেয়নি তার অটোমেটেড সার্ভে


Related Posts
Previous
« Prev Post

মোট পাতাদর্শিত