ইলেকট্রনিক্স লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইলেকট্রনিক্স লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রিসিস্টরের মাণ নির্ণয়ের সূত্র ও নিয়ম

রিসিস্টরের মাণ নির্ণয়ের সূত্র ও নিয়ম
রোধের কথা আমরা সবাই কম বেশি শুনেছি, পড়েছি, অনেকেই স্বচক্ষে দেখেছিও। যারা বিজ্ঞান বিভাগে বর্তমানে পড়াশোনা করছি, তাদের এটা আরো বেশি শোনার কথা।

প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের ওপর রোধ বা, রিসিস্টর



এখন বলি, রোধ বা, রিসিস্টর হলো এমন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ যা তড়িৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করে।
এর মান প্রকাশ করা হয় ওহম দিয়ে, কেননা, পদার্থবিজ্ঞানী জর্জ সাইমন ওহম পদার্থের এই তড়িৎ প্রবাহে বাঁধাদানের সুত্র আবিস্কার করেন।

বর্তমানে বাজারে নানা মানের রোধ বা, রিসিস্টর পাওয়া যায়। এই মান বের করার জন্য রোধের গায়ে কিছু রঙের ব্যান্ড দেওয়া থাকে, একে আমরা সোজা বাংলায় পট্টি বলে থাকি।

এই রঙ গুলোর মানে আছে। নিচের এই চার্ট দেখেই ঘাবড়ে যাবে না, আরও অনেক জানার বাকি, বলছি দাড়াও...


কালার কোডের চার্ট


































একটা রোধের প্রথম ব্যান্ড থেকে গোনা শুরু করলে,
  1. মানের প্রথম অঙ্ক
  2. মানের দ্বিতীয় অঙ্ক
  3. গুণক
  4. শুদ্ধতার মান
এইগুলি থেকেই আমরা একটি রোধের মান নির্ণয় করতে পারি। কিভাবে?

এবার আমাদের অঙ্ক করতে হবে :p 

ধরি, আমাদের একটা রোধ আছে যার উপর কালার কোডগুলো হলো BrownYellowRed এবং Golden 
এবার আমরা কালার কোডের চার্ট থেকে মানগুলো বের করে নিই।
  • প্রথম ব্যান্ডের জন্য Brown এর মান 1 
  • দ্বিতীয় ব্যান্ডের জন্য Yellow এর মান 4 
  • তৃতীয় ব্যান্ডের জন্য গুণক Red এর মান 102 বা 100 
  • চতুর্থ ব্যান্ডের জন্য Golden এর শুদ্ধতার মান ±5% (মানে পাঁচ শতাংশ কম বেশি হতে পারে) 
প্রথম দুই ব্যান্ডের অঙ্ক কার্যত একটি সংখ্যা নির্দেশ করে। 
মানে, Brown এবং Yellow = 14 
তাহলে রিসিস্টরের মান হয়, 14 × 102 ± 5%

সর্বোচ্চ মাণ = 1470 Ω বা, 1.47 Kilo Ohm 
সর্বনিম্ন মাণ = 1330 Ω বা, 1.33 Kilo Ohm

নোটঃ
রোধ বা, রিসিস্টর পাঁচ ব্যান্ডের হলে এর প্রথম তিনটি ব্যান্ডের মানের অঙ্ক একটি সংখ্যা নির্দেশ করবে এবং ছয় ব্যান্ডের হলে প্রথম চার ব্যান্ডের মানের অঙ্ক একটি সংখ্যা নির্দেশ করে।


এবার আমরা যদি অঙ্ক না করে মাণ নির্ণয় করতে চাই তবে... তবে আমার ওয়েব অ্যাপলিকেশনটি ব্যাবহার করতে পারো, কিংবা অনলাইনে অনেক অ্যাপ আছে সেগুলো ব্যাবহার করতে পারো।
আমার রিসিস্টর ক্যালকুলেটরের লিঙ্ক, app.grplusbd.net/resistor-calculator

আমি শখের বশে ওয়েবসাইট অ্যাপ্লিকেশান ডিজাইন করি, তাও এটা এখন আমার নেশা হয়ে গেছে।


এবার আমার আরেকটা নতুন ওয়েব অ্যাপ এলাম, এবার তোমরা এই ওয়েব অ্যাপলিকেশন ব্যাবহার করে সহজেই কোনো ইলেক্ট্রনিক সার্কিট বোর্ডের বা অন্য যেকোনো ধরনের কার্বন ফিল্ম রিসিস্টরের মান নির্ণয় করতে পারবে। এটি মূলত ইলেকট্রনিক্স প্রফেশনাল, হবিস্ট এবং স্টুডেন্টদের জন্য ডেভেলপ করা, আমি নিজেই একজন হবিস্ট, তাই এইটি ডেভেলাপ করার চিন্তা মাথায় আসে, এখন এর ১.১ ভার্সন চলছে। আপডেট ও চেঞ্জ লগ লক্ষ করতে আমার ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক গিটহাবের আইডি দেখতে পারো, blog.grplusbd.net/2016/10/resistor-calculator.html#github


অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারো, আছে আমাদের টিম জিআর+ এর সার্ভারেই!
app.grplusbd.net/resistor-calculator


আমি পুরো প্রোগ্রামিং করতে জাভাস্ক্রিপ্ট স্ক্রিপ্টিং ব্যাবহার করেছি।
এখানে জাভাস্ক্রিপ্টে লেখা স্ক্রিপ্ট ভিন্ন ভিন্ন ফাংশানে লেখা আছে, যখন ইউজার রঙ নির্বাচন করে, তখন এই ফাংশানগুলো এইচটিএমএল ‘অন চেঞ্জ’ অ্যাাট্রিবিউট দিয়ে কল করা হয়। তখন ঐ ফাংশনটি কালার অনুযায়ী ইন্টিজার ভ্যালু ইনপুট নেয়, কারন সিলেক্ট ট্যাগের মাধ্যমে রঙ ইউজার দেখতে পেলেও ভ্যালু হিসেবে ইন্টিজার ভ্যালু দেয়া আছে।

আর ফাংশনটি তখন কালার কোড ক্যালকুলেট করে আউটপুট দেয়, এবং এখানে আমি আরেকটি ফাংশন লিখেছি যেটা অনেক সহজ, যে কোনো ডেভেলপার এটা করতে পারবে, এইটা দিয়ে আমি রিসিস্টরের ছবি সিমিউলেশান করে দেখিয়েছি অ্যাপের ভেতরে, এর গ্রাফিক্সটা তৈরি হয় মূলত ক্যানভাস এবং সিএসএস দিয়ে।
এতে তিনটি ক্যালকুলেটর আছে, যা ৪, ৫ এবং ৬ পট্টি বা ব্যান্ডের রিসিস্টর কাউন্ট করতে পারে এবং মাণ নির্ণয় করতে পারে।
আছে একটা রেফারেন্স পেজ যাতে তুমি রিসিস্টর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাবে। এছাড়া এটা রেস্পন্সিভ ডিজাইন হওয়ায় তুমি যেকোনো ডিভাইসে সাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন

পুলিশের গাড়ির বা ভিআইপি গাড়ির লাইট বারের মতো কাস্টম লাইট বার বানিয়ে নিন!

পুলিশের গাড়ির বা ভিআইপি গাড়ির লাইট বারের মতো কাস্টম লাইট বার বানিয়ে নিন!
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন? প্রায় ২ সপ্তাহ পর এলাম পোস্ট করতে :D
এবার আপনাদের আমার নিজের ডিজাইন করা একটা সার্কিট উপহার দেবো।

এই সার্কিট দিয়ে কিছু সাধারণ যন্ত্রাংশ দিয়েই ভিআইপি বা পুলিশ লাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন।


অনেকের কাছে জিনিশটা সিম্পল মনে হলেও এটাতে আমি আরও দুটো ফাংশান বাড়িয়ে দিয়েছি।

এটাতে এখন আপনি লাইটের স্পিড পরিবর্তন করতে পারবেন। আমি দুটো ক্যাপাসিটর দিয়েছি দুটো স্পীডের জন্য। আপনি ইচ্ছামত ক্যাপাসিটর আর সুইচের পরিমান বাড়িয়ে নিতে পারবেন। বাতির পরিমান বেশি হলে BC547 এনপিএন ট্রানজিস্টার ব্যাবহার করতে পারেন।

পাওয়ার মাত্র ৬০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারেই হবে। ৫ ভোল্ট লাগবে।

এছাড়া "লাল নীল লাল নীল" এভাবে জলা ছাড়াও লাল নীল দুটি একসাথে জলবে নিভবে এরকম একটা ফাংশানো দিয়ে দিয়েছি।
এক কথায় মজার একটা সার্কিট!

  







আরও পড়ুন

পেন্সিল ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাংক!

পেন্সিল ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাংক!
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন?
আমি ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ইজ ব্যাক (মজা করলাম)
যাই হক, অনেকদিন হাতে হাতে মজার কোন প্রোজেক্ট বানানো হয় না,
আজ মজার কিন্তু কাজের একটা জিনিস বানাবো। একটা পাওয়ার ব্যাঙ্ক!



এবার পাওয়ার ব্যাঙ্কের দুইটা প্রোজেক্ট বানাবো, আলাদা আলাদা পোস্টে দুইটি থাকবে।


প্রথমে আমরা পেন্সিল ব্যাটারি দিয়ে ট্রাই করবো।

একটা পেন্সিল ব্যাটারির দাম মাত্র ১০ টাকা। আর আমাদের এই পাওয়ার ব্যাংক বানাতে লাগবে ৪টা ব্যাটারি। রিচার্জ করা গেলে তো কথাই নেই!

তো আমাদের প্রথমে একটা ব্যাটারি কেস যোগাড় করতে হবে। অনলাইন শপে কিনতে পাওয়া যায়, আবার পুরোনো খেলনায়ও পাওয়া যায়, তবে নিজেরাই বানিয়ে নিতে পারব আশা করি কিছু শক্ত কাগজ, আঠা আর স্টেপলার পিন দিয়ে।


সিরিজ ব্যাটারি কানেকশান


প্রথমে আঠা আর শক্ত কাগজ দিয়ে কেস বানাতে হবে এবং স্টেপলার পিন দিয়ে ব্যাটারি কানেক্টর বানাতে হবে।
এবার আমাদের ৪টা ব্যাটারি সিরিজে বসাতে হবে।

ব্যাটারি কেসিং
এবার একটা চার্জার ক্যাবল নিন, কাটলেই একটা লাল এবং কালো তার দেখতে পাবেন।
না পেলে চার্জার ক্যাবলটা কোন পাওয়ার সাপ্লাইয়ে লাগিয়ে মাল্টিমিটার দিয়ে দেখতে পারেন কোনটা পজিটিভ এবং নেগেটিভ।

এবার ব্যাটারি কেসিং-এর পজিটিভ/নেগেটিভ চার্জার ক্যাবলের পজিটিভ/নেগেটিভে কানেক্ট করুন। এতে আপনি একটা ৫ ভোল্টের একটা পাওয়ার ব্যাংক পেয়ে যাবেন।
এটা ৬ ভোল্ট 1.5A পাওয়ার ব্যাংকের কাজ করবে।


আরও পড়ুন

দি রাউটার কুলার - The Router Cooler

দি রাউটার কুলার - The Router Cooler
আসসালামু আলাইকুম,
এর আগের রাউটার কুলার দেখতে মনে হয় এর থেকে ভালো ছিল :p 
কিন্তু এটা ঐটা থেকে বেশি কার্যকর।


যাদের আইসক্রিমের বক্স পছন্দ হচ্ছে না তারা তার ওপরে রঙ করে নিতে পারেন।
নিচে তো সার্কিট ডায়াগ্রাম দিয়েই দিয়েছি। অ্যান্টি রিভার্স ভোল্টেজ করে দিয়েছি, এতে পাওয়ার সাপ্লাই কম গরম হবে, কিছুই না, কেবল N4007 ডায়োড রিভার্স করে লাগিয়ে দিয়েছি।








আরও পড়ুন

রাউটার গরম হয়ে যায়? ছোট্ট একটা ইলেক্ট্রনিক সমাধান!

রাউটার গরম হয়ে যায়? ছোট্ট একটা ইলেক্ট্রনিক সমাধান!

আসসালামু আলাইকুম,

সেবার একটা রাউটারের রিভিউ দিয়েছিলাম, হ্যান্ডস অন রিভিউ, ওটা আমারই রাউটার।
মাগার এতো গরম হয়, বলার মতো না।
বাসায় ৫ জন ইউজার সারাক্ষন ওয়াইফাই চালালে যা হবার হয়।

ভয় লাগে, গরম হয়ে না জ্বলে না যায়।

তাই কম্পিউটারের কেসিং-এর দুইটা ফ্যান থেকে একটা খুলে নিলাম। কিনতেও পারতাম, কম্পিউটারের দোকানে ৬০ টাকা দিলেই একটা পাওয়া যায়।
কিনলাম না, কারন টাকার বহুত ডিমান্ড এখন। ভাগ্যিস প্রেম করি না, করলে পকেটে প্রজাপতি উড়তো। এখনো ভাংতি কয়েন আছে, এই যা। পাওয়ার দিয়েছি মবাইলের চার্জার দিয়ে।
এখন,
রাউটারের মেজাজ একদম ফুরফুরা!!!!



আরও পড়ুন

মিনি বেস শেকার - Mini Bass Shaker

মিনি বেস শেকার - Mini Bass Shaker

আসসালামু আলাইকুম,

জিনিসটা হাস্যকর ঠেকছে? প্রফেশনাল জিনিস না দেখেই এমন লাগছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউ এই জিনিশ বানায় নাই।
এটা একটা মিনি বেস শেকার।

বেজ শেকার কি?

নিচে ছবি দেখুন।


এর কাজ হল সাউন্ড ইফেক্টের সাথে আপনার আসবাব কাপান।

মানে যখন স্পিকারে বেস দিবে তখন আপনার খাট - চেয়ার - টেবিল কাপতে থাকবে।
ওখানে ৫০ ওয়াট স্পীকার ইউজ করে আর আমি করেছি ৫ ওয়াট :v

তাই আমারটার পাওয়ার কম।

আমারটা একটা টেবিল কোনোমতে কাঁপাতে পারে।

প্রথমে স্পিকারের পিছনে LM358 Sound Amplifire সার্কিট মাউন্ট করুন বা সুপারগ্লু মেরে লাগিয়ে দিন।

এখানে সার্কিটের ডিজাইন পাবেন। এখানে <------ a="">



উপরের নিয়মে বসালে ভালো ফলাফল পাবেন। মানে টেবিল ভালো শেক করবে। 



আরও পড়ুন

বানিয়ে নিন Mini USB Fume Extractor

বানিয়ে নিন Mini USB Fume Extractor
আসসালামু আলাইকুম,

কেমন আছেন? গরম কাল এসে গেলো, গরম পরার আগেই আপনাদের ডেস্কটপ এয়ার কুলার বানানো শেখাবো। তবে আজ অন্য কিছু।

আপনারা অনেকেই সল্ডার বা ঝালাই করেন। আমি লোহা ঝালাই বলি নাই -_-
সার্কিট সল্ডারের কথা বলেছি। 
যারা প্রফেশনাল কাজ করেন তারা যে একবার না একবার সল্ডার করেছেন তাতো আমি জানি।
সখের বশেও অনেকে করেন, আমার মতো।


মজার কথা হল আমার সল্ডারিং আয়রন বা তাতাল নাই :P
আমি স্ক্রু ড্রাইভার স্টোভে গরম করে কাজ করি :v

তো ঝালাই করার সময় যখন সল্ডারিং লিড তাতালে গলে যায় তখন একটা ধোঁয়া বের হতে অনেকে দেখেছেন। এটা সীসার অক্সাইড যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক!

এর থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে, তবে দূরে থাকলে তো আর ঝালাই করা যায় না, তাই আমাদের অন্য ব্যাবস্থা নিতে হবে।

এইজন্নে এই ইউএসবি ফিউম এক্সট্রাক্টর (Fume Extractor)


এই যন্ত্রটি ধোঁয়া ভেতরে টেনে নিয়ে ফিল্টার করে বাহিরে ছেড়ে দেয়।
বাজার থেকে প্রফেশনালি কিনলে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হবে ফিল্টার সহ।
তবে আপনি একটা ছোট ভার্সন নিজেই বানাতে পারেন।

এজন্য আপনার লাগবে,
  1. একটা ১২ ভোল্ট কম্পিউটার ফ্যান
  2. ৬-১২ ভোল্টেজ সাপ্লাই
  3. একটা বাক্স
  4. সুইচ
  5. এক্টিভেটেড কার্বন ফোম (না পেলে সাধারণ ফোমেও হবে)
এবার নিচের ডায়াগ্রাম মতো বসিয়ে দিন সব।

 প্রথমে ধোঁয়া যুক্ত বাতাস ফোম দিয়ে বাক্সে ঢুকবে, তারপর ফোমের মাঝেই ধোঁয়ার কার্বন পারটিকেল আটকে যাবে এবং মোটামোটি বিশুদ্ধ বাতাস ফ্যানের সাহায্যে বেরিয়ে আসবে।










আরও পড়ুন

নিজের জন্য বানান একটা পার্সোনাল MonoBox!

নিজের জন্য বানান একটা পার্সোনাল MonoBox!
আসসালামু আলাইকুম,
অনেকদিন পর আবার আমি ইলেক্ট্রনিকসে পোস্ট করছি।
বেশি কথা বাড়াব না, আজ আপনাদের শিখিয়ে দেবো কিভাবে একটা ছোটোখাটো মনো বক্স বানাতে হয়।

মনোবক্স, ইংরেজিতে Monobox বা একক বক্স বলতে মূলত একটা স্পীকার ওয়ালা অ্যামপ্লিফায়ার বোঝায়। তো আমার এই ডিজাইন করা বক্স আপনি যেখানে ইচ্ছা সাথে করে নিতে পারবেন। পাবলিক প্লেসে না নেয়াটাই ভালো, বাঙালি পাগল জাতি, অন্যকেও পাগল দেখে অভ্যস্থ!

তো এখানে আপনি ইচ্ছা করলে একটা ৬ ভোল্ট ব্যাটারি ব্যাবহার করতে পারেন। বা একটা পাওয়ার এডাপ্টার ব্যাবহার করতে পারেন। আমি এডাপ্টার ব্যাবহার করেছি।

এই মনো বক্স আপনি আপনার নিজের টেবিলে বা রুমে সাচ্ছন্দে ব্যাবহার করতে পারবেন। কাছা কাছি রাখলে ভালো হয়। বেজ বুস্টার আছে। ম্যাক্স আউটপুট ২ ওয়াট, আমি ৫ ওয়াট স্পীকার লাগিয়েছি বলে ৫ ওয়াট লেখা। ৫ ওয়াট লাগানোয় ফুল ভলিউমে আমার স্পীকার সামান্য নয়েজ দেয়। তাই ১ ওয়াট লাগানো ভালো। আর আমি ফাঁকা আইসক্রিমের বক্স ব্যাবহার করেছি কারন কাটা সোজা, একেবারে মাপমতো! আপনি ইচ্ছে করলে আপনার পছন্দসই বাক্স নিতে পারেন।




সার্কিট


ভেতরে

বেজ বুস্টার লাইট (এই লিঙ্কে বিস্তারিত)

এই ডায়াগ্রাম ফলো করলেই ভালো,



আরও পড়ুন

LM386 দিয়ে একটা ছোট Noiseless সাউন্ড অ্যামপ্লিফায়ার বানিয়ে ফেলুন

LM386 দিয়ে একটা ছোট Noiseless সাউন্ড অ্যামপ্লিফায়ার বানিয়ে ফেলুন
আসসালামু আলাইকুম,

এই টিউটোরিয়ালে আপনাদের একটা ছোট এমপ্লিফায়ার বানানো শেখাবো। এটি বানানোর আগে আপনাদের এর ব্যাসিক(লিঙ্ক) জেনে নেওয়াটা দরকার হবে। বাংলায় দেওয়া আছে, সমস্যা নেই।



এখন আপনাদের প্রথমে একটা সিম্পল সাউন্ড এমপ্লিফায়ার তৈরি করতে বলবো যাতে আপনার নয়েজলেসের সাথে এর পার্থক্য বুঝতে পারেন।

সিম্পল্ভাবে বানাতে আপনার লাগবে,
  • একটা এলএম৩৮৬ আইসি
  • একটা ১০ ওহম রিসিটর
  • একটা ১০০০ মিউ এফ ক্যাপাসিটর
  • একটা স্টেরিও জ্যাক (অডিও ইনপুট নেওয়ার জন্য)
  • কিছু তার
  • একটা ব্রেডবোর্ড
  • একটা পাওয়ার সাপ্লাই বা ব্যাটারি (৫ ভোল্ট)

এটা বানানোর পর ব্যাবহার করলে বুঝবেন এই সার্কিট কিভাবে কাজ করে এবং এটাতে প্রচুর নয়েজ তৈরি হয়। নয়েজের একটা কারন সলিড তার কম ব্যাবহার করা আর লম্বা লম্বা তার ব্যাবহার করা।
যত কম লম্বা তার আর বেশি সলিড তার ব্যাবহার করবেন, নয়েজের হার তত কমে যাবে।


এখন আপনাদের একটা উন্নতমানের ছোট সাউন্ড এমপ্লিফায়ার বানাতে দেখিয়ে দেবো। এখানে থাকবে বেজ বুস্ট কন্ট্রোল, সাউন্ড কন্ট্রোল আর গেইন কন্ট্রোল।



আপনাদের অতিরিক্ত যা যা লাগবে,


  • 470 pF নন পোলার ক্যাপাসিটর।
  • ২টা 100 μF ক্যাপাসিটর।
  • ৩টা 0.1 μF নন পোলার ক্যাপাসিটর।
  • 10K Ohm রিসিস্টর।
  • 10 μF ক্যাপাসিটর।
  • তিনটা ১০কিলো ভলিউম।
আরও পড়ুন

এলএম৩৮৬ অডিও এমপ্লিফায়ার আইসি বেসিক - LM386 Basics

এলএম৩৮৬ অডিও এমপ্লিফায়ার আইসি বেসিক - LM386 Basics

আসসালামু আলাইকুম,
আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো একটা শক্তিশালী ভোল্টেজ অ্যামপ্লিফায়ারের সাথে।
এটার বিবরধন ক্ষমতা বেশি বলে অডিও অ্যামপ্লিফায়ার খুব সহজেই বানানো যায়।
এটি একটি অসাধারণ আইসি। এখানে কিছু রিসিস্টর, ক্যাপাসিটর এবং কিছু ট্রান্সিস্টর দিয়েই তৈরি সম্ভব।
এর মধ্যে সাউন্ড গেইন কন্ট্রোল সহ বেজ বুস্ট কন্ট্রোলও দেওয়া যায়। এবং এই আইসি একটা অস্কিলেটর হিসেবেও কাজ করতে পারে যা সাইন তরঙ্গ বা স্কয়ার(চতুষ্কোণ) তরঙ্গ তৈরি করতে পারে।



এটি এক ধরণের অপারেশনাল এমপ্লিফায়ার(Op-Amp). অপারেশনাল এমপ্লিফায়ার হল এক ধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ যারা একটা ইনপুট ভোল্টেজকে তার ১০ গুন, ১০০ গুন বা ১০০০ গুন বৃদ্ধি করা যায়।
গেইন আর ভলিউমের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।


গেইন মূলত ইনপুটের ঘনত্ব বা কম্পাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে। আর ভলিউম শব্দ বাড়ানো বা কমানোর কাজ করে।
তো পার্থক্যটা কি?
গেইন হল ইনপুট ভোল্টেজের আমপ্লিফিকেশন বা বিবর্ধকতা। মানে এটা কত পরিমানে আমপ্লিফাই হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে।
আর ভলিউম একটা নির্দিষ্ট গেইন রেঞ্জ বা সীমার ভেতর আপনাকে সাউন্ড বাড়ানো বা কমানোর কাজ করতে দেয়।
গেইন ভলিউম লেভেলের সীমা নিরধারন করে দেয়।
যদি উদাহরন দেই,
যদি আমাদের গেইন ২০ হয়, তবে ভলিউম হবে ০ থেকে ২০ এর মধ্যে।
যদি আমাদের গেইন ২০০ হয়, তবে ভলিউম হবে ০ থেকে ২০০ এর মধ্যে।


আমাদের এলএম ৩৮৬ আইসি এর ৮টি পিন আছে।



আসল পিন হল ২ নম্বর আর ৩ নম্বর, এই দুটি পিন ইনপুট নেয়। আর পিন ৫ পজিটিভে আমপ্লিফাই করা সাউন্ড আউটপুট দেয়।
গেইন কন্ট্রোল পাওয়া যাবে পিন ১ আর পিন ৮ একটা 10 μF ক্যাপাসিটর দ্বারা যুক্ত করে, তবে একটা ভেরিয়েবল পট ব্যাবহার করলে আরও কার্যকরী হবে।
যদি পিন ১ আর ৮ একত্রিত না থাকে তবে আউটপুট ২০ লেভেলে সীমাবদ্ধ থাকবে। সাথে কেবল একটা 10 μF ক্যাপাসিটর লাগালেই গেইন লেভেল ২০০ হয়ে যাবে।
গেইন লেভেল কন্ট্রোল করতে মন মতো পটেনশিওমিটার বা ভেরিয়েবল রিসিস্টর ক্যাপাসিটরের সাথে সিরিজে লাগাতে হবে।


পাওয়ার রেটিং অনুযায়ী এই আইসি ৩ প্রকারে বাজারে পাওয়া যায়,
  • LM386N-1: 0.325 Watts
  • LM386N-3: 0.700 Watts
  • LM386N-4: 1.00 Watts


এখানে এর ভেতরের ডায়াগ্রাম রইল,

আরও পড়ুন

fritzing দিয়ে সার্কিট বানানোর টিউটোরিয়াল

fritzing দিয়ে সার্কিট বানানোর টিউটোরিয়াল
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন?

কয়েকদিন আগেই আপনাদের ফ্রিটযিং-এর কথা বলেছিলাম। এবং সেই পোস্টে এও বলেছিলাম যে খুব তাড়াতাড়ি আসবে টিউটোরিয়াল।
এবং আমার সেই কথা রাখতে আপনাদের জন্য এই ছোট্ট পোস্ট + ভিডিও টিউটোরিয়াল।



ফ্রিটযিং(frizing) একটি ফ্রি সার্কিট ডিজাইনার সফটওয়্যার। বর্তমানে এটির বেটা সংস্করণ চলছে।
তবে ফানালাইজিং করলেই যে এটা পেইড হয়ে যাবে তা নয়। এটা ফ্রিই থাকবে!


তবে এখন ফ্রিটজিং ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে, আপনার পিসি যেটা সাপোর্ট করবে সেটাই নেবেন।
মানে ৩২বিট বা ৬৪ বিট।

এবং আনজিপ করুন যেকোনো আর্কাইভ ইউটিলিটি দিয়ে, এক্ষেত্রে আপনি সেভেন জিপ ইউজ করতে পারেন।

এখন fritzing.exe দিয়ে ফ্রিটজিং চালু করুন।

এখন এরকম স্ক্রিন পাবেন,

এই স্ক্রিন থেকে আপনি সহজেই ফ্রিটজিং কমিউনিটিতে যেতে পারবেন, তাদের ব্লগে পোস্ট করতে পারবেন।

এবার উপরের Welcome ট্যাবের পাশের Breadboard ট্যাবে আপনি আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে ব্রেড বোর্ড সার্কিট আঁকতে পারবেন।

এছাড়া Schematic ট্যাব দিয়ে সার্কিটের ডায়াগ্রাম দেখতে পাবেন।

এবং PCB ট্যাব দিয়ে আপনি সার্কিট বোর্ড প্রিন্ট করানোর আগের ডিজাইন করতে পারবেন।

ডান পাশে আছে সমস্ত পার্টস। এখানে বেশ কিছু মাদারবোর্ড আছে, যেমন আরডুইনো, ইন্টেল, রাস্পবেরি পাই ইত্যাদি।

তো এখানে আমার আর কিছু বলার নেই, অনেক সোজা কাজ।

হ্যাঁ! তবে আপনার সার্কিটের একটা ডাটা ফাইল সেভ হবে .fzz ফরম্যাটে। এটা নিজেকেই করতে হবে,মানে Ctrl + S

এছাড়া ডাটা ফাইলের বদলে যদি ছবি মানে পিএনজি জেপিজি ইত্যাদি চান তবে,

ফাইল &gt; এক্সপোর্ট &gt; ইমেজ &gt; পিএনজি/জেপিজি/টিজিএ

আরও পড়ুন

অসাধারণ একটি ব্রেডবোর্ড সার্কিট ডিজাইন করার ফ্রি সফটওয়্যারঃ fritzing

অসাধারণ একটি ব্রেডবোর্ড সার্কিট ডিজাইন করার ফ্রি সফটওয়্যারঃ fritzing
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন? আমি অনেক আগেই বলেছি এখানে ইলেক্ট্রনিকস বিভাগে কেউ লিখতে চাইলে তাকে সাদরে গ্রহন করে নেওয়া হবে। তবে সেই পোস্ট গুলো হতে হবে মান সম্পন্ন এবং বোধগম্য।


যাইহোক, যারা লিখতে চান তারা এই ঠিকানায় মেসেজ দিয়ে ইনভাইট নিতে পারেন facebook.com/grplusbd
তো আমার এই পোস্ট কি ইলেক্ট্রনিকস বিভাগে দেবো না সফটওয়্যার বিভাগে দেবো তা নিয়ে আমি নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ। তাই কোনও কনফিউশন না রেখে দুই বিভাগেই দিলাম।



আপনারা যারা ইলেক্ট্রনিকস স্টুডেন্ট, প্রফেশনাল, হবিস্ট বা ব্লগার, সকলেই আশা করি স্কিমেটিক বা ডায়াগ্রাম আঁকেন, আঁকার চেস্টা করেন বা আঁকবেন ভাবছেন। অনেকে সফটওয়্যারের ঝামেলায় না যেয়ে সরাসরি কাগজে একে স্ক্যান করিয়ে নেন। তবে কম্পিউটারে আঁকলে ভুল হবে কম, হলেও শোধরানো যাবে, এবং দেখতে আকর্ষণীয় লাগে।



এর জন্য ভালো একটি সফটওয়্যার হল ফ্রিটজিং!
ফ্রিটজিং একটি ফ্রি সফটওয়্যার। এখনো এর বেটা সংস্করণ চলছে। মানে বাগিং – ডিবাগিংএর প্যাঁচাল।
যাই হোক, প্রটিয়াস বা সার্কিট উইজার্ড থেকে আমার এটিই বেশি পছন্দ। প্রটিয়াস কিনতে আপনাকে ২৯৯ ডলার (৩০০ বললে পাবলিক বেশি দামি মনে করে, আমরা অনেক বোকা) আমার মতো এই সাধারন বাংলাদেশি ছেলের হয়তো ২৯৯ ডলার যোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই ফ্রিই আমাদের ভরসা।



ফ্রিটযিং নানা ভাষায় ব্যাবহার করা যায়। মজার ব্যাপার হল এর ডেভেলপাররা এতে বাংলা ভাষায় রুপান্তর করে দিয়েছেন, মানে এর ল্যাঙ্গুয়েজ অপ্সন থেকে আপনি বাংলা চয়েজ করতে পারবেন।


ফ্রিটজিঙ্গে আপনি ব্রেডবোর্ডের মতো হুবহু পার্টস সিলেক্ট করে সার্কিট বানাতে পারবেন, তবে এখনো এতে সিমিউলেশন সুবিধা দেওয়া হয় নি।
সেই ব্রেড বোর্ডের বানানো সার্কিটের অনুকরণে ফ্রিটজিং নিজেই পিসিবি ডিজাইন করে দেবে এমনকি একটা ডায়াগ্রাম বানিয়ে দেবে। পিসিবিএর পাথ বা রাস্তা আপনাকে আঁকতে হবে না, সেটাও অটোম্যাটিক হবে!



আর আছে প্রচুর যন্ত্রাংশ, সবই ২ডি রেস্পন্সিভ কার্টুন করে বানানো, দেখলেই আপনার সার্কিট বানাতে ইচ্ছে করবে।
এছাড়া আপনার সার্কিট আপনি পিএনজি, টিজিএ, জেপিজি বা এসভিজি(রেস্পন্সিভ ওয়েব ফরম্যাট) তে রূপান্তর করে আউটপুট নিতে পারবেন। এছাড়া আপনি ফ্রিটজিং ওপেন করলেই ওদের ফোরামে ও ব্লগে সরাসরি পোস্ট করতে। এমনকি আপনার বানানো সার্কিট অনলাইনে সরাসরি শেয়ার করতে পারবেন।


তবে এখনই ডাউনলোড করে নিন!

এই লিঙ্কে যান ডাউনলোড করতে, অফিসিয়াল সাইট



টিউটোরিয়াল খুব শীঘ্রই আসবে।
আল্লাহ হাফেজ...


... ... ... ... ... ... ... 
আরও পড়ুন

মিনি সাউন্ড অ্যামপ্লিফায়ার সাথে বেজ বুস্ট ব্লিঙ্কার লাইট

মিনি সাউন্ড অ্যামপ্লিফায়ার সাথে বেজ বুস্ট ব্লিঙ্কার লাইট
আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন?
নতুন রুপে, নতুন উদ্যমে জিআর+ চালু হলো। তাই লেখার একটা জোশ পাচ্ছি(!)
আচ্ছা, আজ আবার আরেকটি ইলেক্ট্রনিক্স সার্কিট নিয়ে আলোচনা করবো।

তার আগে একটা কথা বলে নিই,
আমাদের এই ব্লগে ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে জরুরি ভিত্তিতে লেখক নিয়োগ হচ্ছে, আপনি ইলেক্ট্রনিক্স পাগল + ব্লগ লেখক হলে আপনি আমন্ত্রিত।

আচ্ছা, কাজের কথায় আসি।

আজকেও আমি একটা অডিও এমপ্লিফায়ার নিয়ে আলোচনা করবো।
এটাও LM386 আইসি বেজ করা।


বিরক্ত হবেন না, এখানে নতুন সংযোজন আছে। 
এখন এটার মাঝে একটা বেস বুস্ট এলইডি যোগ করে দিয়েছি।


এটার ডিজাইন হুবহু এলএম ৩৮৬ অডিও এম্প এর মতো।

এবং আপনি যদি পিসিবি দিয়ে প্রিন্ট করিয়ে সল্ডার করেন, তবে এটা পকেটে নেওয়ার সাইজ হয়ে যাবে।

এটা ১০০ শতাংশ কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস কারন আমি নিজে এটা পরীক্ষা করে দেখছি।

এখানে একটা স্পীকার থাকলেও চলবে, আবার না থাকলেও চলবে।

এটা বানাতে আপনার সর্বমোট ২০০ টাকা বা কম বেশি খরচ পড়তে পারে।



আমার এটা বানাতে যা যা লেগেছে,
  1. একটা ১০ কিলো ওহম পটেনশিওমিটার (ভলিউম হিসেবে)
  2. একটা স্টেরিও জ্যাক (অডিও ইনপুট)
  3. এলএম ৩৮৬ (এমপ্লিফায়ার)
  4. ১০ ওহম রিসিস্টর (ফিউস)
  5. ১০০০ মিউ এফ ক্যাপাসিটর (অডিও আউটপুট)
  6. ১০০ মিউ এফ ক্যাপাসিটর (এলইডি বুস্ট চার্জার)
  7. ট্রান্সিস্টর এনপিএন বিসি ৫৪৭ (এলইডি ভোল্টেজ এমপ্লিফায়ার)
  8. এলইডি (বুস্ট রিদেম লাইট)



আরও পড়ুন

বিজ্ঞান মেলায় দেওয়ার মতো অটোমেটিক নাইট লাইটের বাস্তব মডেল

বিজ্ঞান মেলায় দেওয়ার মতো অটোমেটিক নাইট লাইটের বাস্তব মডেল


নিজের ভিডিওগ্রাফি
নিজের এডিটিং
কেমন হয়েছে বলবেন।



এখানে আরও দেখুন,


আরও পড়ুন

অটোম্যাটিক ওয়াটার পাম্প ড্রাইভার

অটোম্যাটিক ওয়াটার পাম্প ড্রাইভার

আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? অনেক দিন পর পর ইলেকট্রনিকস কর্নারে পোস্ট করি। আসলে টাইম খুঁজে নিতে পারি না। কারন আমি একাই এদিকটা সাম্লাই :v
এখন একটা অটোম্যাটিক ওয়াটার পাম্প ড্রাইভার বানাতে সেখাব আপনাদের।

এসি ওয়াটার পাম্প ড্রাইভিং হাই ভোল্টেজ এবং অনেক হাই কারেন্ট সার্কিট। হাই ভোল্টেজ সার্কিট সম্পর্কে ধারনা না থাকলে এই প্রজেক্ট তৈরি করবে না, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, ঘটলে আমি দায়ি নই।

Automatic-water-tank




৫৫৫ আইসিকে বহু ভাবে ব্যবহার করা যায়, যেমন টাইমার, টগল সুইচ ইত্যাদি। বর্তমানে আমরা একে একটি কন্ট্রোলড টগল সুইচ হিসাবে ব্যবহার করব। যাতে ২ আর ৪ নং পিন ব্যবহার হবে; আর পিন ৩ হবে আউটপুট।

সেটঃ ৩ নং পিন হাই (ভোল্টেজ আছে)

রিসেটঃ ৩ নং পিন লো (ভোল্টেজ নাই)

সেট হয়ঃ ২ নং পিনের ভোল্টেজ যদি 1/3 x Vcc এর কম হয় (যেমন Vcc=12 volt হলে ২নং পিন ভোল্ট 4 ভোল্টের কম হলে)।

রিসেট হয়ঃ ৪ নং পিনে ভোল্টেজ যদি গ্রাউন্ড বা নেগেটিভ স্পর্শ করে।

আমরা এক্ষেত্রে ওয়াটার লেভেল ইন্ডিকেটরের আপ বা হাই লেভেলে ৬ নং পিন যুক্ত করব আর নীচ বা লো-র সাথে ২ নং পিন।

ট্যাংক খালি হলেঃ ২ নং পিন পানির ছোয়া থেকে সরে গেল ভোল্টেজ শুন্য হয়ে যাবে ফলে ৫৫৫ আইসি সেট হয়ে যাবে। এতে ৩ নং পিনে ভোল্টেজ এসে রিলে অন করে দিবে। এই অবস্থা চলতে থাকবে যতক্ষন ৫৫৫ আই সি রিসেট না হয়।

ট্যাঙ্ক ফুল হলেঃ আপ বা হাই প্রোব পানি ছোবে আর ট্রাঞ্জিষ্টরের বেসে ভোল্টেজ দেখা দিবে যা ৪নং পিনকে গ্রাউন্ডের সাথে কানেক্ট করে সার্কিট রিসেট হয়ে ৩ নং পিনের আউটপুট বন্ধ করে দিবে ফলে রিলে অফ হবে। এই অবস্থায়ই চলতে থাকবে যতখন ৫৫৫ আইসি সেট না হবে।


দ্রষ্টব্যঃ ইলেক্ট্রিক পাম্প সাধারনত অনেক কারেন্ট টানে তাই উচ্চ এম্পিয়ার রেটিং রিলে ব্যবহার করতে হবে। যেমন আমার বাসায় ২ হর্স পাওয়ারের সাবমার্সিবল পাম্প ব্যাবহৃত হয়। আমি ১২ ভোল্ট ডিসি কন্ট্রোল সাইড, ২৫০ভোল্ট ৩০ এম্পিয়ার এসি লোড রেটিং এর রিলে ব্যবহার করি।


আরও পড়ুন

মোট পাতাদর্শিত