এটি প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ থেকে নেওয়া।
এর সমস্ত কৃতিত্ব প্রথম আলোর লেখক ও আলোকচিত্রির।
দুর্যোগের সময় বা তার পরে উদ্ধারকাজে রোবটের ব্যবহার রয়েছে বটে, তবে ভিন্ন পরিস্থিতিতে রোবট নিজে থেকে কিছু করতে পারে না। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. শরিফুল ইসলাম, শায়েখ মো. শিথিল ও মো. তারেক হোসেনের দল চেষ্টা করে যাচ্ছে এমন কোনো কিছু তৈরি করতে, যাতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোবট নিজ বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সমাধান বের করতে পারে। শরিফুল ইসলাম বলেছে, ‘ভিডিও ইমেজ প্রসেসিং নিয়ে কাজ করছি আমরা। ইউটিউব ভিডিও দেখে যেন রোবট শিখতে পারে সেই চেষ্টা করছি।’ শরিফুল পড়ছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে এবং অপর দুই সদস্য পড়ছে সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
থ্রিডি প্রিন্টার
স্বল্প খরচে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) প্রিন্ট নয়, বরং প্রিন্টার বানিয়ে দিতে পারবে এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিন ছাত্র। তাদের দলনেতা সৌমেন দাস বলেছে, লোহার রড, কাঠের মতো স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় তৈরি করা যায় এটি। মেইন বোর্ড হিসেবে আরডুইনো ব্যবহার করা হয়েছে এতে। দলের অপর দুই সদস্য হলো শেখ শাফিন আহমেদ ও সাদমান সাকিব। তারা সবাই ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে পড়ছে। বাংলাদেশে সবে থ্রিডি প্রিন্টারের প্রচলন হতে শুরু হলেও প্রথমবার কেউ তৈরি করে দেখাল।
বাড়ির নিরাপত্তাক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্র আহবাব আল মো. সিদ্দিকি ও জারিফ তাহমিদ তৈরি করেছে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা। তাদের বাড়িতে একবার চুরি হওয়ার পর এই চিন্তা মাথায় আসে আহবাবের। দরজার সামনে লুকানো অবস্থায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের সাহায্যে এই নিরাপত্তা যন্ত্র রাখা হয়। আহবাব বলল, এই নিরাপত্তাব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এর খরচ কম। আর অনলাইনে যুক্ত না থাকায় এটি হ্যাক করাও সম্ভব নয়।
তিন চাকার ট্রলি
আঞ্চলিক ভাষার ডিজিটাল অভিধান
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রণীত বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান কেন্দ্র করে রাজধানীর শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের দশম শ্রেণির তিন ছাত্র মো. তালহা চৌধুরী, গাজী তাওসীফ তুরাবি ও মাহমুদুজ্জামানের দল ‘আপেক্ষিক’ তৈরি করেছে আঞ্চলিক ভাষার ডিজিটাল অভিধান। দলনেতা তালহা বলল, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ৩০০ শব্দ যোগ করতে পেরেছি। আরও কাজ চলছে। এক হাজার শব্দের বেশি হলে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে ছাড়তে পারব। ইতিমধ্যে কপিরাইটের জন্য আবেদন করেছি।’