লম্বা সময় কম্পিউটার চালিয়ে চোখের বারোটা বাজাচ্ছেন নাতো? কিছু টিপস আপনার জন্য

আসসালামু আলাইকুম,
লম্বা সময় অনেক অনলাইন এক্টিভিস্টকেই স্ক্রিনে চোখ রাখতে হয়। এতে চোখের উপর প্রচুর চাপ পড়ে।
এতে দৃষ্টি ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
এতে আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতেই পারেন যদি অকালে মোটা কাচের চশমা না পড়তে চান।

এক্ষেত্রে আমরা ঘরে অবশ্যই সূর্যের আলো আসতে দেবো, তবে তা যেন সরাসরি চোখে বা স্ক্রিনে প্রতিফলিত না হয়। এতে স্ক্রিনের লেখা পড়তে অসুবিধা হবে এবং চোখের বেশি পরিশ্রম করতে হবে।

ঘর কম উজ্জ্বল হলে ভাল হয়। ঘরে টিউব বা টাংস্টেন ইউজ করা যেতে পারে। তবে তা যেনও  সরাসরি চোখের উপর না থাকে।



কম্পিউটার স্কিনে আলোর যে রিফ্লেকশন তৈরি হয় বা গ্লেয়ার তৈরি হয় তা আই স্ট্রেইন বারিয়ে দেয়। এতে আপনার মাথা ব্যাথা করতে পারে, বা ঘুম পেতে পারে। এক কথায় চোখ ক্লান্ত হয়ে পরবে।

এছারা আপনি যদি সিআরটি মনিটর ব্যাবহার করে থাকেন, তবে দ্রুত এলসিডি কিনে ফেলুন, এলইডি না কিনলেই ভাল। এলইডি লাইফলাইক ডিসপ্লে দিলেও তা চোখের উপর চাপ ফেলে। এলসিডি মনিটরে অ্যান্টি গ্লেয়ার লেয়ার দেয়া থাকে। এতে সহজে উপরে রিফ্লেকশন তৈরি হয় না। সেসব কিনলে ভাল। এছাড়া চোখের চাহিদা মতো ব্রাইটনেস এবং কন্ট্রাস্ট কমিয়ে বারিয়ে নিতে পারেন।সিআরটি মনিটর ডিসপ্লে ফ্লিকার বা কাপাকাপি করে যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়া এখন বেশ কিছু সফটওয়্যার আছে যা রুটিন করে মনিটরের ব্রাইটনেস বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেয়।
এখান থেকে আমি f.lux ব্যাবহার করতে বলবো। এটা ফ্রি সফটওয়্যার, ব্যাবহার সোজা। এটা জিপিএস দিয়ে আপনার লোকেশন বুঝে নেয়ার চেস্টা করবে বা লোকেশন জিজ্ঞাসা করবে, সেই মাফিক সে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত সময় বের করে মনিটরের আলো নিয়ন্ত্রন করবে। আবার এগুলো কাস্টমাইজ করা যায়। ডাউনলোড করুন।

কম্পিউটারের ডিসপ্লে সেটিং কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন।

  • Brightness মিডিয়াম রাখবেন। বেশি বা কম করে রাখবেন না।
  • Text size and contrast. লেখার আকৃতি বড় করে দিবেন, দেখতে সুবিধা হবে। চোখের পেশি আরাম পাবে এতে। এছাড়া কন্ট্রাস্ট সামান্য বারিয়ে দেবেন, এতে লেখা স্পষ্ট হবে।
  • Color temperature. কালার টেম্পারেচার কমিয়ে দিন। নীল আলোর আধিক্য কমিয়ে দিয়ে কমলা আলো বারিয়ে দিবেন।তবে বেশি না।
স্যামসাং মনিটরে MagicTune সফটওয়্যার ডাউনলোড করে সহজেই এই কনট্রোল করতে পারবেন।
এছাড়া একটানা ২০ মিনিট মনিটরে তাকাবেন না, দূরে কাছে চোখ ফোকাস করে ক্লান্তি কমিয়ে নিতে পারেন।


Related Posts
Previous
« Prev Post

মোট পাতাদর্শিত