আসসালামু আলাইকুম,
আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো একটা শক্তিশালী ভোল্টেজ অ্যামপ্লিফায়ারের সাথে।
এটার বিবরধন ক্ষমতা বেশি বলে অডিও অ্যামপ্লিফায়ার খুব সহজেই বানানো যায়।
এটি একটি অসাধারণ আইসি। এখানে কিছু রিসিস্টর, ক্যাপাসিটর এবং কিছু ট্রান্সিস্টর দিয়েই তৈরি সম্ভব।
এর মধ্যে সাউন্ড গেইন কন্ট্রোল সহ বেজ বুস্ট কন্ট্রোলও দেওয়া যায়। এবং এই আইসি একটা অস্কিলেটর হিসেবেও কাজ করতে পারে যা সাইন তরঙ্গ বা স্কয়ার(চতুষ্কোণ) তরঙ্গ তৈরি করতে পারে।
এটি এক ধরণের অপারেশনাল এমপ্লিফায়ার(Op-Amp). অপারেশনাল এমপ্লিফায়ার হল এক ধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ যারা একটা ইনপুট ভোল্টেজকে তার ১০ গুন, ১০০ গুন বা ১০০০ গুন বৃদ্ধি করা যায়।
গেইন আর ভলিউমের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।
গেইন মূলত ইনপুটের ঘনত্ব বা কম্পাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে। আর ভলিউম শব্দ বাড়ানো বা কমানোর কাজ করে।
তো পার্থক্যটা কি?
গেইন হল ইনপুট ভোল্টেজের আমপ্লিফিকেশন বা বিবর্ধকতা। মানে এটা কত পরিমানে আমপ্লিফাই হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে।
আর ভলিউম একটা নির্দিষ্ট গেইন রেঞ্জ বা সীমার ভেতর আপনাকে সাউন্ড বাড়ানো বা কমানোর কাজ করতে দেয়।
গেইন ভলিউম লেভেলের সীমা নিরধারন করে দেয়।
যদি উদাহরন দেই,
যদি আমাদের গেইন ২০ হয়, তবে ভলিউম হবে ০ থেকে ২০ এর মধ্যে।
যদি আমাদের গেইন ২০০ হয়, তবে ভলিউম হবে ০ থেকে ২০০ এর মধ্যে।
আমাদের এলএম ৩৮৬ আইসি এর ৮টি পিন আছে।
আসল পিন হল ২ নম্বর আর ৩ নম্বর, এই দুটি পিন ইনপুট নেয়। আর পিন ৫ পজিটিভে আমপ্লিফাই করা সাউন্ড আউটপুট দেয়।
গেইন কন্ট্রোল পাওয়া যাবে পিন ১ আর পিন ৮ একটা 10 μF ক্যাপাসিটর দ্বারা যুক্ত করে, তবে একটা ভেরিয়েবল পট ব্যাবহার করলে আরও কার্যকরী হবে।
যদি পিন ১ আর ৮ একত্রিত না থাকে তবে আউটপুট ২০ লেভেলে সীমাবদ্ধ থাকবে। সাথে কেবল একটা 10 μF ক্যাপাসিটর লাগালেই গেইন লেভেল ২০০ হয়ে যাবে।
গেইন লেভেল কন্ট্রোল করতে মন মতো পটেনশিওমিটার বা ভেরিয়েবল রিসিস্টর ক্যাপাসিটরের সাথে সিরিজে লাগাতে হবে।
পাওয়ার রেটিং অনুযায়ী এই আইসি ৩ প্রকারে বাজারে পাওয়া যায়,
- LM386N-1: 0.325 Watts
- LM386N-3: 0.700 Watts
- LM386N-4: 1.00 Watts
এখানে এর ভেতরের ডায়াগ্রাম রইল,