এর গেইমপ্লে ভালো, তবে গেইম সেভ ফিচারটি ভালো লাগেনি। সেখানে কুইক সেভ থাকলে পারতো।
এই গেইমের মুল চরিত্র হল ডেভিড জোন্স, সে একজন এজেন্ট এবং সে Institute for Geotactical Intelligence and former BritishSAS এর এজেন্ট, ওকে চারপাথিয়ান পাহাড়ের পাদদেশে একটা মাফিয়া বেজে পাঠানো হয় একটা ইএমপি চিপ উদ্ধার করে আনতে যেটা একটা ইউএস মিলিটারি ফ্যাকাল্টি থেকে চুরি যায়।
প্যারাসুট জাম্প করে নেমে একে একে অসাধারন দুইটি মিশন শেষ করে তাকে ওয়েদার ষ্টেশনে যেতে হবে। তার মিশন ডিরেক্টর ফিলিপ হোয়াইট তাকে চিপ খুজে আইজিআই হেড কোয়ারটারে আসতে বলে।
তাতে করে বিজ্ঞানিরা আবার গবেষণা করতে পারবে। কিন্তু দেখা যায় চুরি যাওয়া চিপটিকে আরও উন্নত করা হয়েছে, এতে ফিলিপ বুঝে যায় এর উন্নত ভার্সনের ব্লু প্রিন্ট কোথাও আছে। ফিলিপ তাকে এই আপডেটেড ভার্সন ধংশ করে ফেলতে আবার প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটি মিশনে পাথায়, এখানে একটা ফ্যাক্টরি ধ্বংস করতে হয় জোনকে।
এই মিশনের পর ডেভিড যে হেলিকপ্টারে পালিয়ে যায়, সেই হেলিকপ্টারের পাইলট রবার্ট কোয়েস্ট তাকে বিট্রে করে এবং হেলিকপ্তার থেকে ফেলে দেয় রাশিয়ার সীমান্তে। কোনো ক্রমে বেঁচে যায় ডেভিড।
রবার্ট আর ফিলিপ দুজনে মিলে কয়েকজন গার্ড আর বিজ্ঞানীকে গুলি করে চুরি করে নিয়ে যায় ইএমপি চিপটা .
ফিলিপের কোনও ট্রেস পাওয়া না যাওয়ায় তদন্ত করে দেখা যায়, জ্যাক প্রিবয় নামের এক অস্ত্র ব্যাবসায়ি তার সাথে বিশাল পরিমানের অস্ত্রের ডিল করেছে লিবিয়ায়।
তখন নতুন মিশন ডিরেক্টর অ্যানা বের করে যে, জ্যাক লিবিয়ার গোয়েন্দা দ্বারা বন্দি হয়ে আছে বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের জন্য। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ডেভিড নিজেও বন্দি হয়।
তারপর কোনোমতে পালিয়ে, ফায়ার ফাইট করে জেল ভেঙ্গে পালায় তারা দুজন। জ্যাক এর বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল চুরি করে নিতে হয় ডেভিডকে, কারণ সেই বাড়িতে তখন আর্মির আনাগোনা। তারপর দেখা যায় সেই ফাইল গুলো কোন কাজেরই না, আসল ফাইল মেজর সাইদ সরিয়ে নিজের বেজে নিয়ে রেখেছে। তখন একটা আর্মি এয়ার বেজ থেকে একটা হেলিকপ্টার চুরি করে নেয় ডেভিড আর জ্যাক।
তারপর গান ফাইট করে ছিনিয়ে নেয় সেই আসল ফাইলগুলো।
তারপর জ্যাক তাকে জানায় যে, ফিলিপ তার সাথে ডিল করছিলো মিশরের একটা সমুদ্র বন্দরে।
সেখানে গিয়ে ডেভিড আবিস্কার করে যে এই চিপ আয়টিভেট করার জন্য তারা কোন দেশের সাহায্য নিতে যাচ্ছে।
তখন ডেভিড তার পাইলট রবার্টকে খুন করে একটা রাশিয়ান সি-প্লেন চুরি করে চীনের কাছে একটা দ্বীপে যায়, অ্যানা সেখানে স্যটেলাইটে সন্দেহজনক কিছু লক্ষ করে, সেখানে গিয়ে তাদের কম্পিউটার হ্যাক করে ডেভিড জানতে পারে তারা চাইনিজ জেনারেল উ জিং -এর সাথে একটা স্যটেলাইট ক্যানন তৈরি করতে যাচ্ছে যেটা দিয়ে কোনও দেশের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল করে দেওয়া যায়।
সেখানে একটা এন্সিয়েন্ট ক্যাসেল খুজে পায় জোন, সেখানে একটা ল্যাব তৈরি করা হয়েছে।
সেখানে সে লুকিয়ে সব লক্ষ করতে থাকে। সেখানে দেখা যায়, রবার্টের মৃত্যুর জন্য ফিলিপ জেনারল কে দায়ি করতে থাকে, কিন্তু খুন করেছিল ডেভিড। এতে জেনারেল রেগে ফিলিপকে গুলি করে মেরে ফেলে। তারপর ঘটনাক্রমে ডেভিড জানতে পারে, জেনারেল ৩য় বিশ্বযুদ্ধ ঘটাতে জাচ্ছে, তাই সাথে সাথে গান ফাইটে গুলি করে জেনারেল আর তার কমান্ডো বাহিনীকে মেরে ফেলে জোন।
তারপর খুজে বের করে সেই লাঞ্চ প্যাড যেখানে থেকে একটি স্পেস শাটলে করে সেই সাটেলাইট ক্যানন লাঞ্চ করা হবে। সেখানে গোপনে আক্রমন চালায় ডেভিড, চুপিসারে গার্ডদের খতম করে স্যটেলাইট নস্ট করে দেয়, তারপর আইজিআই টিম চলে আসে তাকে উদ্ধার করার জন্য।