ইংরেজি ক্লাস হচ্ছে।
টপিক transformation.
স্যার প্রস্ন করলেন, “কেউ কি এটা
পারবে? “Only
Allah Can Help Us. “? ”
“জী স্যার, আমরা পারবো”
“তবে কর”
আফটার ১ মিনিট...
“ স্যার হইয়া গেছে !”
“ কি লিখেছ? “
“ স্যার, None But
Allah can help Us “
“ আচ্ছা none but মানে বলতে পারবা? “
“উম...... না স্যার, বলতে পারবো
না ”
“ কি অবস্থা তোমাদের! None but মানে জান না ”
উপরের এই ঘটনা আমার সামনে ঘটা।
যে জবাব দল সে ক্লাসের অন্নতম
ভালো ছাত্র।
আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে
দোষারোপ করার জন্য এই উদাহরন যথেষ্ট না।
আমাদের পরাশনাকে ‘গরু’ রচনা
থেকে ‘রাঁচি ভ্রমন’ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। বাহিরে জাওয়া যায় না। জেতেও
দেওয়া হয় না।
ফিজিক্সের শিক্ষককে ভারসিটি
লেভেলের প্রস্ন করলে তিনি জবাব না দিয়ে বলবেন ‘তুমি বুঝবে না’
আমার বন্ধু সালেহিন শিক্ষককে
জিজ্ঞাস করল, ‘স্যার, সিপি প্রতিসাম্য কি?’
এই বয়শে তার ফিযিক্স বইতেতো আর
সিপি প্রতিসাম্মের সংজ্ঞা থাকে না।
এক্ষেত্রে উনি জবাব দিলেন না,
উনি জানেন না।
সালেহিন এর ধারনা পায় বিজ্ঞান
পত্রিকা থেকে।
স্যার তো ফিজিক্সের শিক্কক
হিসাবে বিজ্ঞান পত্রিকা পরতে পারতেন।
আবার আমার আরেক বন্ধু হিমেল
বিজ্ঞান কংগ্রেসের জন্য গবেশনায় আছে। সে জরিপে পেল পড়ার স্মরণশক্তি কোথায় কেমন হয়।
সে শিক্ষকদের ৩টি ক্যাটাগরি
করেছে। ১. পেটায় ২. কম পেটায় ৩. পেটায় না
তার গবেশনায় সফল ১ ও ২
১ ও ২ ছাত্রদের পড়াতে সক্ষম।
কিছু শিক্ষক ছাত্রদের মানশিক
চাহিদা বুঝতে পারেন না। তাদের মানশিকতা এরেকম যে, মাইরের অপর ঔষধ নাই ।
আবার মুখস্তবিদ্দা আরেক বড়
সমস্যা।
মুখস্থবিদ্যায় শিক্ষিত হওয়া
যায়, মানুষ হওয়া না।
এছাড়া একটা ছাত্রের দায়িত্ব
নিজেকে জানা ও বোঝা।
সে কোন ধরনের কাজের যোগ্য ও
কিসে তার আগ্রহ তা তাকেই জানতে হবে এবং সে মাফিক ক্যারিয়ার গরতে হবে।
তেমনি অভিভাবকের দায়িত্ব আছে।
তাদের কখনই সন্তান্দের ওপর জোড়
করে কোনও কিছু চাপাতে পারবেন না।
সন্তান সেচ্ছায় ডাক্তার হতে
চাইলে হতে দিননা, সমস্যা কি?
ডাক্তারের বদলে সে এঞ্জিনিয়ার
হলে সে এঙ্গিনিয়ার হবে, কিন্তু তার মনের ইচ্ছা আর শপ্ন ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাবে।
আর সে হয়ে যাবে একটা যন্ত্র।
অনেকে ভাবেন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার
ছাড়া ভালো চাকরি নাই।
একজন ওয়েব ডেভেলপার একটা
ওয়েবসাইট বানিয়ে লক্ষ টাকা কামাতে পারেন।
বিল গেইটস একজন পড়াশোনা না জানা
কম্পিউটার প্রোগ্রামার।
স্তিভ জবস বেশিদিন পড়তে পারেন
নি টাকার জন্য।
একজন পাইলট বিমানে দেশ বিদেশ
ঘরেন, মাসে ২ লাখ টাকা কামান।
একজন ফটোগ্রাফার বনে বাদাড়ে
ঘুরে ছবি তোলেন, তার মাশিক আয় ৮০ হাজার টাকা।
আমাদের দেশে সৃজনশীল পদ্দতি
চালু করা হয়েছে।
আমি সৃজনশীলতার আভাস পাচ্ছি না।
আসলে আমাদের মানশিকতা বাপ –
দাদার আমলে আটকে গেছে।
ডাক্তার থেকে ইঞ্জিনিয়ার
পর্যন্ত আমাদের দৌড়।
একজন ছাত্র চাইলেও পদার্থবিদ না
হয়ে হয়ে যায় সচিব।
একজন ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের
গবেষক না হয়ে হয়ে যায় আদর্শ মাতা কিংবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
বিভাগঃ
আমার দৃষ্টিতে
আরও পড়ুন