ওয়াচ ডগ






  • Developer: Ubisoft Montreal
  • Publisher: Ubisoft 
  • Director: Jonathan Morin 
  • Producer: Dominic Guay
  • Designer: Danny Belanger 
  • Programmer: Francis Boivin
  • Writer: Kevin Shortt
  • Composer: Brian Reitzell,Peter Connelly
  • Engine Disrupt, with Havokphysics
  • Platform:Microsoft Windows 7,8,8.1/PlayStation3/PlayStation4/Xbox 360/Xbox One/Wii U
  • Release date: May 27, 2014
  • Genre: Action-adventure
  • Mode: Single-player, multiplayer
  • Processor: Quad Core 2.66GHz
  • 4 GB RAM,
  • GPU 2 GB DDR5

*Story:

একবিংশ শতাব্দীতে এই বিষয়টি যেন
মাতিয়ে রেখেছে বিশ্বকে।নতুন নতুন গল্পের ,নতুন
গ্রাফীক্সের সমন্বয়ে প্রতিদিন উন্নত হচ্ছে গেমিং দুনিয়া।
এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য গেম
ডেভেলপিং কোম্পানীগুলোর সাথে যুদ্ধ
করে গেমিং মার্কেটে নিজেদের পায়ের তলার
মাটিকে পুরোপুরি পাকাপোক্ত করতেই যেন Prince of
Persia,Assassin's Creed নামক অসাধারণ সব সিরিজ ছাড়ার পর
আরো একটি ব্লকবাস্টার ছাড়ল ডেভেলপিং জায়ান্ট
ইউবিসফট!
গেমটির ট্রেইলার রিলিজ হবার পর
থেকে এটা নিয়ে হাইপ ছিল।থার্ড পারসন এই গেমটিতে মূল
চরিত্রের নাম এইডেন পিয়ার্স।হাতে গাড় নীল আলোর
ঝলকানি দেয়া স্মার্টফোন,দীর্ঘ কালো আলখাল্লা পরা আর
মুখ ঢাকা এই হ্যাকারকে ট্রেইলারে দেখা যায়
শিকাগোর রাস্তায় উদ্দেশ্যহীনভাবে হাটতে।
আমি নিজেও ট্রেইলার দেখে দারুন মজা পেয়েছিলাম
যে এখানে গেমাররা হ্যাক করতে পারবে ,আর দারুন
গ্রাফীক্সের ওপেন ওয়ার্ল্ডে যা খুশি করতে পারবে।আর
গেমটা খেলার পরেও বলব যেমন শক্তিশালী গল্প
আশা করেছিলাম তেমন না হলেও গেমটা আসলেই ভাল।
না না,খুবই ভালো।
নিজের অপরাধমুলক জীবনের বলি হিসেবে ছোট
ভাতিজি লীনার মৃত্যু- না লীনার খুন হবার পর
কিছুটা আত্মগ্লানি আর প্রতিশোধের নেশায় এক অসম
যুদ্ধে নামে এইডেন।গল্পের কাহিনীতে এসময়
সারা শিকাগো শহর একটা সেন্ট্রাল
অপারেটিং সিস্টেমের নিয়ন্রনে আছে যার নাম ctOS।
যেখানে শহরের প্রতিটি মানুষের সকল তথ্য,তাদের ব্যবহৃত
পিন কোড,রুচি,গোপন কথা সব কিছুই সংরক্ষন করা আছে।আর
এইডেনের নিজস্ব দক্ষতায় সে শুধু যেকোন মানুষকে স্ক্যান
করে তাঁর সকল তথ্য নিয়ে নিতে পারে ctOS এর
মাধ্যমে যে তথ্য এইডেন ইচ্ছা করলে সেই লোকের বিরুদ্ধেই
ব্যবহার করতে পারে!
এইডেনের হাতে একটা অটোমেটিক গান
থাকে অপরাধীদের শুটকরার জন্য।তার অপর
হাতে থাকে স্মার্টফোন ,আর
এইটা দিয়ে গেমাররা মানে আমরা চাঁদ
হাতে পেয়ে যাবার মত অবস্থায় পড়ব শিকাগো শহরে!
নানা এপস আছে ফোনটায়।একটা এপ্লিকেশনের নাম
'প্রোফাইলার' যার মাধ্যমে যে কাউকে স্ক্যান করে তথ্য
বের করা যায়,তাছাড়া আছে অপরাধ বিষয়ক এপ্লিকেশন
যা শহরে কোথায় অপরাধ হচ্ছে জানান দেয়!ইচ্ছা করলে এই
বিশাল দুনিয়ায় অপরাধীদের ধরে শাস্তিও
দিতে পারা যাবে আবার কারো গোপন তথ্য জেনে তাঁর
ব্যাংক ব্যালেন্সের জানাজাও পড়তে পারা যাবে!একটু
মনোযোগী হলে অনেক মজা নিতে পারা যায় এ গেম
থেকে,হ্যাকিং করতে গিয়ে পুলিশের
হাতে ধরা পড়ে যাচ্ছেন? কোন
সমস্যা নাই,অদূরে পড়ে থাকা কোন ইলেকট্রিক বাল্ব
বা কিছু জ্বালিয়ে দিন আপনার হাতের জাদুর প্রদীপ
দিয়ে।।ব্যাস,পুলিশকে আকর্ষন করবে ওটা,পুলিশ সরলেই
পালান।পথে এক কাজ করুন,একটা ট্রেনকে হ্যাক করে চলন্ত
অবস্থা থেকে থামিয়ে উঠে পড়ুন।এরপরেও
যদি দেখে ফেলে আপনাকে তাহলে সরাসরি পুরা এলাকার
লাইটগুলি নিভিয়ে দিন এক চাপে!!!! টোটাল ব্ল্যাক আউট!!!
এবার হয়ে যান ধাঁ!!!
কোন অপরাধীর বা জায়গা নিয়ে ঝামেলায় পড়লেও
সমস্যা নাই!
স্ক্যান করে বের করে ফেলুন দুর্বলতা কোথায় আছে!!!!
মুল গল্পে কিছু হ্যাকারদের সাথে ঠান্ডা যুদ্ধ চলতে থাকে।
কে সেরা তা প্রমানের জন্যই যেন।এছাড়াও কিছু বিষয়
আছে যা ক্র্যাক করব না।তবে গল্পের
বাইরে এটাতে কারো নতুন গাড়ী নিয়ে ধরুন রেস
করতে বেরিয়ে যেতে পারবেন বা কোন
ক্যাসিনোতে তাস খেলতে লেগে গেলেন।কোন
গাড়ীকে ধাওয়া করতে চাইলে ইচ্ছা করে সে গাড়ীক্র
আটকাতে ট্রাফিক লাইট পরিবর্তন,বা সে গাড়ীর
সামনে হ্যাক করে কোন কিছু ধ্বসিয়ে ফেলাও কম মজার
নয়!!!!
ও হ্যা,এসব করতে করতে ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যেতে পারে!
এসময় চার্জ করতে হবে।আর হ্যাকিং এর সময় কিন্তু
সিকিউরিটি স্ক্যান থেকে দূরে থাকতে হবে!!
যাতে ধরা না খান!
আর মাল্টিপ্লেয়ারেও মজা! প্রতিটি প্লেয়ার অন্যদের আউট
করার চেষ্টা করবে।ডাইরেক্ট অটোমেটেড গান
দিয়ে রিস্ক না নিয়ে সবাই অন্যের
স্মার্টফোনে ব্যাকডোর ভাইরাস ঢুকানোর চেষ্টা করে!!
হাহাহা,ফোন ছাড়া যেকেউ এখানে নখ দন্তবিহীন বাঘ!
তাছাড়া তুখোড় প্লেয়াররা নানা এপ্লিকেশন
দিয়ে অন্যদের জন্য ফাঁদ বানিয়েও কুপোকাত
করতে পারছে!!!

GamePlay:





Download Link:









Related Posts
Previous
« Prev Post

মোট পাতাদর্শিত